বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ রোড (Marine Drive Road) এখন কক্সবাজার ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ। ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রোডটি কক্সবাজারের কলাতলী থেকে শুরু হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। রোডের এক পাশে রয়েছে উত্তাল সমুদ্র সৈকত আর অন্য পাশে সবুজ পাহাড়। কোনো কোনো জায়গায় পাহাড়ের গা বেয়ে ঝর্ণার প্রবাহ দেখা যায়। মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ভ্রমণের সময় সমুদ্রের সৌন্দর্য, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য এবং চিরসবুজ টেকনাফ গর্জন ফরেস্ট উপভোগ করা যায়।
মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে হিমছড়ি এবং ইনানী সৈকতে যেতে পারেন খোলা জিপ, মাইক্রোবাস, সিএনজি বা অটোরিকশায়।
মেরিন ড্রাইভ রোডে যাওয়ার পথ
মেরিন ড্রাইভ রোড ভ্রমণের জন্য প্রথমে কক্সবাজার যেতে হবে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের বাস সার্ভিসে (যেমন: সৌদিয়া, গ্রিন লাইন, শ্যামলী পরিবহন) প্রতি সীটের ভাড়া ৯০০-২৫০০ টাকা।
ট্রেন: কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেসে যেতে পারেন।
ফ্লাইট: বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার, ইউএস বাংলা, এয়ার অ্যাস্ট্রা সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার
নতুন ব্রিজ, অলংকার মোড় বা দামপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে কক্সবাজার যেতে পারেন। বাস ভাড়া ৪২০-১০০০ টাকা।
কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ রোড
কলাতলীর ডলফিন মোড় থেকে খোলা জিপ, সিএনজি বা অটো সহজেই পাওয়া যায়। পুরো রোড ঘুরতে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। গাড়ি ভাড়া ৮০০-৪০০০ টাকার মধ্যে থাকে, যা ভ্রমণের দূরত্ব এবং সিজনের ওপর নির্ভর করে।
থাকার জায়গা
কক্সবাজারে প্রায় ৫০০-এর বেশি হোটেল এবং রিসোর্ট আছে। উল্লেখযোগ্য:
- লাক্সারি রিসোর্ট: সায়মন বিচ রিসোর্ট, মারমেইড বিচ রিসোর্ট
- মধ্যম মানের হোটেল: সী প্যালেস, সী গাল, লং বিচ
অফসিজনে ভাড়া কম থাকে, কিন্তু ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারিতে অগ্রিম বুকিং করাই ভালো।
খাওয়ার জায়গা
মেরিন ড্রাইভ রোডের বিভিন্ন স্থানে মানসম্পন্ন রেস্টুরেন্ট আছে। কক্সবাজার শহরে রোদেলা, পৌষি, ঝাউবন, ধানসিঁড়ি উল্লেখযোগ্য।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- মেরিন ড্রাইভে যাওয়ার পথে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট পড়বে। জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সঙ্গে রাখুন।
- বেশি দাম দিতে এড়াতে হোটেল বা গাড়ি ভাড়া ঠিক করার আগে দরদাম করুন।
Asik Khan
ভ্রমণকারীবিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ রোড হচ্ছে আমাদের কক্সবাজারে।