ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে ভাউলারহাটের কাছে অবস্থিত ঐতিহাসিক শালবাড়ি মসজিদ। শিলালিপির তথ্য অনুসারে, মসজিদটি ১২১৫ বঙ্গাব্দে নির্মিত হয়। পরবর্তীকালে সংস্কার কার্যক্রমের ফলে এর মূল স্থাপত্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে।
শালবাড়ি মসজিদের কিছুটা দূরেই অবস্থিত একটি ইমামবাড়া, যা বর্তমানে ভগ্নপ্রায়। ধারণা করা হয়, মসজিদ ও ইমামবাড়া সমসাময়িকভাবে নির্মিত হয়েছিল। ইমামবাড়াটির দৈর্ঘ্য ১৯ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১৩ ফুট। এর পূর্ব ও পশ্চিম দেয়ালে দুটি করে মোট চারটি দরজা এবং উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে মোট দুইটি দরজা রয়েছে। ইমামবাড়ায় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে থাকে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও সড়ক ও রেলপথে যাওয়া যায়।
- বাস: কর্ণফুলি পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, নাবিল পরিবহন, বাবলু এন্টারপ্রাইজ ও কেয়া পরিবহনসহ বিভিন্ন বাস সার্ভিস রয়েছে। এসি ও নন-এসি বাসে ভাড়া ৮০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত।
- ট্রেন: কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে ঠাকুরগাঁও যাওয়া যায়। ট্রেনের টিকিটের মূল্য ৬৫০ থেকে ২২৩৭ টাকা (শ্রেণীভেদে)।
- লোকাল পরিবহন: ঠাকুরগাঁও শহর থেকে অটোরিকশা বা সিএনজি করে সহজেই শালবাড়ি মসজিদে পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন
ঠাকুরগাঁও শহরের নর্থ সার্কুলার রোডে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে, যেমন:
- হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল শাহ্ জালাল
- হোটেল সাদেক
কোথায় খাবেন
ভাউলারহাট এলাকায় ছোটখাটো চা-নাস্তার দোকান পাওয়া যাবে। ভালো মানের খাবারের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে গাউসিয়া হোটেল, নিউ সুরুচি হোটেল ও হাজী বিরিয়ানি হাউজ উল্লেখযোগ্য।
ঠাকুরগাঁওয়ের দর্শনীয় স্থান
শুধু শালবাড়ি মসজিদই নয়, ঠাকুরগাঁও জেলার আরও কিছু আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে, যেমন:
- বালিয়াডাঙ্গী সূর্যপূরী আমগাছ
- লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘর
- বালিয়া মসজিদ
- ফানসিটি
এই ঐতিহাসিক স্থানগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঠাকুরগাঁও ভ্রমণে আসতে পারেন! 🚗✨
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!