কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা ইউনিয়নের ঠাকুরতলা গ্রামে, মৈনাক পাহাড়ের শীর্ষে অবস্থিত আদিনাথ মন্দির (Adinath Temple)। সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য এই মন্দিরের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব রয়েছে। মন্দিরটির নামকরণ মহাদেবের নাম অনুসারে আদিনাথ করা হয়েছে, আর আদিনাথের অন্য নাম মহেশ, যা থেকে মহেশখালী নামের উদ্ভব। মন্দিরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৫.৩ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। বর্তমানে এই মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যে রাখাইন বৌদ্ধ বিহার এবং মসজিদও রয়েছে, যা অনেককে এই মন্দিরকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক হিসেবে দেখে। প্রতিবছর ফাল্গুন মাসে শিব চতুর্দশী উপলক্ষে ১০-১৫ দিন ব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজার হাজার দর্শনার্থী সমাগম ঘটে।
কিভাবে যাবেন
কক্সবাজার থেকে কাস্তুরী ঘাট বা ৬ নং জেটি যেতে হবে। কক্সবাজারের যেকোনো জায়গা থেকে অটো রিক্সা অথবা সিএনজি নিয়ে ঘাটে যেতে পারেন। কাস্তুরী ঘাট বা ৬ নং জেটি থেকে জনপ্রতি ৮০ টাকা ভাড়ায় স্পিডবোটে মহেশখালী যাওয়া যাবে, সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিট। এছাড়া ইঞ্জিন নৌকাও ব্যবহার করা যায়, এবং চাইলে স্পিডবোট বা ইঞ্জিন নৌকা রিজার্ভও করা যাবে। মহেশখালী ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের মহেশখালী ভ্রমণ গাইড পড়তে পারেন।
কি খাবেন
মহেশখালীতে অনেক নতুন রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে যেখানে আপনি পছন্দের খাবার খেতে পারবেন। তবে খাবার অর্ডার করার আগে দাম যাচাই করে নিন।
কোথায় থাকবেন
মহেশখালীতে পর্যটকদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি, তাই এখানে রাত কাটানো নিরাপদ নয়। তাই রাতে কক্সবাজার অথবা সুবিধাজনক জায়গায় ফিরে যাওয়াই উত্তম। কক্সবাজারে থাকার এবং খাওয়ার বিস্তারিত জানতে আমাদের কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড পড়তে পারেন।
মহেশখালীর আরও দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীর অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পাড়া, স্বর্ণমন্দির, ঝাউবন ও চরপাড়া বিচ, পান বাগান এবং লবণের মাঠ। এছাড়া এই পাহাড়ি দ্বীপের চারপাশ ঘুরে দেখতে একদম মিস করবেন না।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!