টাঙ্গাইল জেলার সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে নাগরপুর উপজেলায় অবস্থিত হযরত শাহান শাহ বাবা আদম কাশ্মীরির (রহ.) স্মৃতিবিজড়িত এক পবিত্র স্থান, যা স্থানীয়ভাবে পরিচিত আদম কাশ্মীর মাজার নামে। ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে কাশ্মীর থেকে আগত এই মহান সাধক এখানে বিশ্রাম নিতেন এবং ধর্মীয় আলোচনা করতেন। মাজারটির স্থানে এখন একটি স্থাপনা নির্মিত হয়েছে, যা এলাকার মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নাগরপুরের আরো দর্শনীয় স্থান
চৌধুরী বাড়ি
নাগরপুর বাজার সড়কের কাছে ৫৪ একর জমিতে জমিদার সতীশ রায় বাহাদুর চৌধুরীর নির্মিত চৌধুরী বাড়ি অবস্থিত। শৈল্পিক কারুকার্যময় এই জমিদার বাড়ির ভেতরে ঘোড়ার দালান, রংমহল ও পরীর দালান রয়েছে। এখান থেকেই জমিদারি পরিচালিত হতো এবং বর্তমানে এটি ঐতিহ্যের প্রতীক। চৌধুরী বাড়ির অংশে এখন নাগরপুর মহিলা কলেজ স্থাপিত হয়েছে।
উপেন্দ্র সরোবর
চৌধুরী বাড়ির দক্ষিণে অবস্থিত বিশাল একটি দিঘি, যা স্থানীয়ভাবে উপেন্দ্র সরোবর নামে পরিচিত। ১২ ঘাটবিশিষ্ট এই দিঘিকে ঘিরে প্রচলিত কল্পকাহিনীগুলো স্থানটির আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।
উদয়তারা সমাধি সৌধ
গয়হাটা গ্রামে তৎকালীন জমিদার কালি কুমার চৌধুরীর মায়ের স্মৃতিতে নির্মিত উদয়তারা সমাধি সৌধ প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু। এটি স্থানীয়ভাবে গয়হাটার মট নামে পরিচিত এবং প্রায় ২০০ বছর ধরে এই সৌধ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে।
পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
পাকুটিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত জমিদার বাড়িতে বর্তমানে পাকুটিয়া বিসিআরজি কলেজ পরিচালিত হয়।
আহম্মদ শাহর মাজার
নাগরপুরের রাতুরিয়া বাজারে আহম্মদ শাহর (রহ.) মাজার রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন প্রচুর ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম হয়।
মাজার ভ্রমণের পথ
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বিনিময়, ঝটিকা, ধলেশ্বরী প্রভৃতি বাসে ১৮০-২৫০ টাকায় টাঙ্গাইল পৌঁছানো যায়।
ট্রেনে আসতে চাইলে কমলাপুর থেকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনে টিকিটের মূল্য ৯৫-৩৯৭ টাকার মধ্যে।
টাঙ্গাইল থেকে আদম কাশ্মীর মাজার
টাঙ্গাইল শহরের বেবিস্ট্যান্ড থেকে বাস বা সিএনজিতে নাগরপুর যেতে পারবেন। বাস ভাড়া ৪০-৬০ টাকা এবং সিএনজিতে জনপ্রতি ৮০-১০০ টাকা। নাগরপুরে পৌঁছে রিকশায় সহজেই মাজার ও অন্যান্য স্থানগুলোতে যেতে পারবেন।
থাকার ব্যবস্থা
নাগরপুরে সরকারি ডাকবাংলো ও শাপলা গেস্ট হাউজ রয়েছে। টাঙ্গাইল শহরে ফিরে যেতে চাইলে বিভিন্ন রেস্ট হাউজ ও হোটেলে থাকার সুবিধা পাবেন।
খাবারের ব্যবস্থা
নাগরপুরে কিছু সাধারণ মানের খাবারের হোটেল রয়েছে। দিনের ভ্রমণ হলে টাঙ্গাইল শহরে ফিরে পছন্দমতো রেস্টুরেন্টে খেতে পারবেন।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!