ক্বীন ব্রীজ

সিলেট শহরের কেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর উপর নির্মিত লৌহ সেতুটি ক্বীন ব্রিজ (Keane Bridge) নামে পরিচিত। এটি সিলেটের "প্রবেশদ্বার" হিসেবে খ্যাত এবং শহরের ঐতিহ্যের একটি প্রতীক। ১৯৩৬ সালে নির্মিত এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৩৫০.৫২ মিটার এবং প্রস্থ ৫.৪ মিটার।

ক্বীন ব্রিজের ইতিহাস

উনিশ শতকের ত্রিশের দশকে আসামের গভর্নর মাইকেল ক্বীন সিলেট সফর করেন। তখন সুরমা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। মাইকেল ক্বীনের স্মরণে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয় এবং তার নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়। মাইকেল ক্বীন ১৯৩২ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত আসামের গভর্নর ছিলেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনী সেতুটির একাংশ ডায়নামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। পরে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহায়তায় বিধ্বস্ত অংশটি পুনর্নির্মাণ করা হয়।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সিলেট

  • সড়কপথে:
    ঢাকা থেকে ক্বীন ব্রিজের দূরত্ব সড়কপথে প্রায় ২৩৩ কিলোমিটার। গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস স্টেশন থেকে গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম, শ্যামলি, এনা পরিবহনের এসি বাসের ভাড়া ১৪০০-১৫০০ টাকা। নন-এসি বাসে জনপ্রতি ভাড়া ৬৮০-৭০০ টাকা।
  • রেলপথে:
    কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত বা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনে যাওয়া যায়। ভাড়া শ্রেণি অনুযায়ী ৩৭৫-১২৮৮ টাকা।
  • আকাশপথে:
    শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ, নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলার বিমান নিয়মিত সিলেট রুটে চলাচল করে।

চট্টগ্রাম থেকে সিলেট

চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে বাস, ট্রেন ও আকাশপথে যাওয়া যায়।

  • রেলপথে:
    পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে। ভাড়া শ্রেণিভেদে ৪৫০-১৫৪১ টাকা।

কোথায় থাকবেন

সিলেট শহরের লালবাজার ও দরগা রোড এলাকায় ৪০০-১০০০ টাকায় মানসম্মত রেস্ট হাউস ও হোটেল পাবেন। উল্লেখযোগ্য হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল হিল টাউন, গুলশান, দরগা গেট, সুরমা, কায়কোবাদ ইত্যাদি।

কি খাবেন

জিন্দাবাজার এলাকার পানসী, পাঁচ ভাই বা পালকি রেস্টুরেন্টে দেশীয় খাবার সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। এদের বাহারি খাবার পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়া শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় আপনার পছন্দ অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন।

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

সিলেট শহর ও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে দেখতে পারেন। উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো:

  • ধর্মীয় স্থান: হযরত শাহজালালের মাজার, হযরত শাহপরাণের মাজার।
  • প্রকৃতিক স্থান: জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, লোভাছড়া, লালাখাল, পান্থুমাই ঝর্ণা।
  • ইতিহাস ও ঐতিহ্য: আলী আমজাদের ঘড়ি।
  • অন্যান্য স্থান: মালনীছড়া চা বাগান, হাকালুকি হাওর, ভোলাগঞ্জ, ড্রিমল্যান্ড পার্ক, জাকারিয়া সিটি।
ক্বীন ব্রীজ এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
190.01 কিমি
সিলেট থেকে
2.29 কিমি
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
আলী আমজদের ঘড়ি
জিতু মিয়ার বাড়ী
হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার
সিলেট শাহী ঈদগাহ
লাক্কাতুরা চা বাগান
মালনীছড়া চা বাগান
হযরত শাহ পরাণ (রাঃ) এর মাজার
ড্রিমল্যান্ড পার্ক
নাজিমগড় গার্ডেন রিসোর্ট
পাগলা বড় জামে মসজিদ
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
হাকালুকি হাওর
হাকালুকি হাওর
বিছনাকান্দি
যাদুকাটা নদী
ভোলাগঞ্জ
লক্ষনছড়া
পান্থুমাই ঝর্ণা
জাফলং
সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা

মন্তব্য

এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন