নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার কেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি, যা স্থানীয়ভাবে মনু মিয়া জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত। বাড়িটি নির্মাণ করেন জমিদার সাজদা মিয়া ১১৭৬ বঙ্গাব্দে। তবে জমিদার আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির মনু মিয়া তার সাফল্য ও জনপ্রিয়তার কারণে এই বাড়িটি তাঁর নামে পরিচিতি লাভ করে।
স্থাপত্য ও পরিবেশ
প্রায় ১০ একর জমিতে বিস্তৃত, এই জমিদার বাড়ির স্থাপত্যশৈলী সত্যিই মনোমুগ্ধকর। বাড়ির মধ্যে রয়েছে তিনটি কারুকার্যমণ্ডিত ভবন, কাছারিঘর, নায়েব ও গোমস্তাদের ঘর, একটি দীঘি, লজ, শান বাঁধানো পুকুর, এবং এক দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। এর চারপাশে রয়েছে অসংখ্য ফুল ও ফলের গাছ। প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন। তবে এখানে প্রবেশ এবং ছবি তোলার জন্য বাড়ির মালিকপক্ষের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।
যেভাবে পৌঁছাবেন
ঢাকা থেকে ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি যেতে চাইলে প্রথমে নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে সিএনজি বা অটোরিকশা ব্যবহার করে ঘোড়াশাল হয়ে জমিদার বাড়িতে যাওয়া যায়।
থাকার ব্যবস্থা
নরসিংদীতে থাকার জন্য বেশ কিছু অপশন রয়েছে, যেমন:
- ইব্রাহীম কটেজ
- সার্কিট হাউজ
- এলজিইডি রেস্ট হাউজ
- জেলা পরিষদের ডাকবাংলো
খাবারের ব্যবস্থা
নরসিংদীতে বেশ কিছু জনপ্রিয় হোটেল রয়েছে যেখানে স্থানীয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার উপভোগ করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- ফাল্গুনি হোটেল
- বাবুর্চি আলমগির হোটেল
- বন্ধু হোটেল
- খোকন হোটেল
এছাড়া নরসিংদীর বিখ্যাত খাবারের মধ্যে রসগোল্লা, লালমোহন, খিরমোহন এবং শাহী জিলাপি অন্যতম।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
নরসিংদীতে ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি ছাড়াও দেখার মতো বেশ কিছু জায়গা রয়েছে:
- লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি
- গিরীশ চন্দ্র সেনের বাড়ি
- উয়ারি বটেশ্বর
- সোনাইমুড়ি টেক
- বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান জাদুঘর
- আটকান্দি মসজিদ
- লটকন বাগান
- বালাপুর জমিদার বাড়ি
- ড্রিম হলিডে পার্ক
সমাপ্তি:
ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি শুধু একটি প্রাচীন স্থাপত্য নয়, এটি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য সাক্ষী। সময় করে এই জায়গাটি ঘুরে আসুন এবং এর ঐতিহাসিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!