একডালা দুর্গ: ইতিহাস, ভ্রমণ নির্দেশিকা ও আকর্ষণীয় তথ্য গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত প্রাচীন একডালা দুর্গের ইতিহাস শুরু হয় প্রায় ৬০০ খ্রিষ্টাব্দে। প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২ কিলোমিটার প্রস্থের এই দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন জনৈক হিন্দু রাজা। ১৩৫২ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান ইলিয়াস শাহ দিল্লির সুলতান ফিরোজ তুঘলকের সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দুর্গটি সংস্কার করেন। তবে ১৩৫৩ ও ১৩৫৭ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লির সুলতান দুইবার আক্রমণ চালিয়েও দুর্গটি দখল করতে ব্যর্থ হন।
পরবর্তী সময়ে, আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র নাসির উদ্দিন শাহ ১৫১৮ থেকে ১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দুর্গটি পুনরায় সংস্কার করেন। মোগল সম্রাট আকবরের আমলে রাজা টোডরমল ভাওয়াল অঞ্চলকে পরগণার অন্তর্ভুক্ত করলে একডালা দুর্গটি ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এর নিকটবর্তী দ্বার-ই দরিয়া দুর্গ একডালা দুর্গের শাখা দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হত।
দুঃখজনকভাবে, একডালা দুর্গ এখন সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত। বর্তমানে এর কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট নেই।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা যাওয়ার জন্য প্রচুর বাস রয়েছে। চৌরাস্তা থেকে কাপাসিয়া উপজেলা যাওয়ার বাস সহজেই পাওয়া যায়। কাপাসিয়া সদর থেকে সিএনজি, রিকশা বা ইজিবাইকে চড়ে তারাগঞ্জ বাজারের পাশে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত একডালা দুর্গে পৌঁছানো যাবে।
কোথায় থাকবেন?
কাপাসিয়া অঞ্চলে বেশ কিছু চমৎকার রিসোর্ট রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- সারাহ রিসোর্ট
- নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট
- জলেশ্বরী রিসোর্ট
- রংবসন্তী রিসোর্ট
- সাহেব বাড়ি রিসোর্ট
- রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট
- ভাওয়াল রিসোর্ট
সকালে ঢাকায় থেকে রওনা দিয়ে দিনে একডালা দুর্গ ঘুরে সন্ধ্যার মধ্যে সহজেই ফিরে আসা সম্ভব।
কোথায় খাবেন?
কাপাসিয়াতে সাধারণ মানের বেশ কিছু খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেমন:
- ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি
- হোটেল ড্রিম ক্যাফে
- বার্গার প্লাস
- নিরু হোটেল
- হোটেল নীলা
গাজীপুরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
গাজীপুরে ঘুরতে যাওয়ার সময় আরও কিছু দর্শনীয় স্থানের কথা মাথায় রাখতে পারেন, যেমন:
- ভাওয়াল রাজবাড়ী
- ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক
- নুহাশ পল্লী
- দ্যা বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ
- বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
এই জায়গাগুলোর মধ্যে প্রতিটিরই রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। তাই সময় নিয়ে ঘুরলে একটি দারুণ অভিজ্ঞতা হবে।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!