অথৈ সাগরের ঢেউ আর সবুজ ঝাউবনের মাঝে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া এলাকায় অবস্থিত এক অপূর্ব সৈকতের নাম শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত (Shuvo Sondha Sea Beach)। পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত এই সৈকত প্রায় ৪ কিলোমিটার লম্বা বেলাভূমি নিয়ে গড়ে উঠেছে। সোনাকাটা ইকোপার্কের কাছাকাছি অবস্থিত শুভ সন্ধ্যা মূলত নলবুনিয়া এলাকার একটি চর।
তালতলী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের মুক্ত বাতাস আর চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এই সৈকত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিড়ির অংশ হওয়ায় এখানে সবুজের সমারোহের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণও দেখা যায়। সাধারণ সমুদ্র সৈকতের তুলনায় এখানে পর্যটকদের ভিড় কম থাকায় নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়ক ও নৌপথে বরগুনায় যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে দ্রুতি পরিবহন, সাকুরা পরিবহন, আবদুল্লাহ পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি বাস সার্ভিস এই রুটে চলাচল করে।
ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম.ভি. যুবরাজ – ২, এম.ভি. নুসরাত-২, এম.ভি. যুবরাজ – ৪ সহ আরও বেশ কিছু ডাইরেক্ট ও লোকাল লঞ্চ বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসব লঞ্চের ডেকের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।
বরগুনা থেকে তালতলী উপজেলা হয়ে বাস বা মটরসাইকেলে চড়ে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থিত শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন
বরগুনা শহরে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউজ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজ, এল.জি.ই.ডি রেস্ট হাউস, পানি উন্নয়ন বোর্ড রেস্ট হাউজ, খামারবাড়ি রেস্ট হাউজ, গণপূর্ত বিভাগ, এগ্রো সার্ভিস সেন্টার (0448-62728), সি আর পি রেস্ট হাউজ (0448-62551), বরগুনা রেস্ট হাউজ (01718-588856), হোটেল তাজবিন (0448-62503), হোটেল আলম (0448-62234), হোটেল মৌমিতা (0448-62842), হোটেল ফাল্গুনী (0448-62733) ইত্যাদি।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!