বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গকারী এক সাহসী মুক্তিযোদ্ধার নাম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার চাকরির সুবাদে সেনানিবাসে কেটেছে তাঁর শৈশবের বেশিরভাগ সময়। ২০ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগদানের স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠা মোস্তফা কামাল পাকিস্তানের চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের সময় তাঁকে মৌখিকভাবে ল্যান্স নায়েকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্মুখযুদ্ধে এই বীর সন্তান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদাতবরণ করেন।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে এবং তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০৮ সালে ভোলা জেলা শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে আলীনগর ইউনিয়নের মোস্তফা নগরে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়া মৌটুপীর গ্রামের নাম পরিবর্তন করে কামাল নগর রাখা হয়েছে। জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন, ব্যবহৃত সামগ্রী, ছবি এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংবলিত গ্রন্থ স্থান পেয়েছে। এছাড়া লাইব্রেরিতে রয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী, উপন্যাস, ধর্মীয় গ্রন্থ, বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা, সাধারণ জ্ঞান, শিশুসাহিত্য, কবিতাসমগ্রসহ নানা ধরনের বইয়ের সমৃদ্ধ সংগ্রহ।

সময়সূচী

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

কিভাবে যাবেন

ভোলা একটি দ্বীপ জেলা হওয়ায় ঢাকা থেকে সরাসরি কোনো বাস বা ট্রেন যোগাযোগ নেই। এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হলো লঞ্চ। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন সময়ে ভোলার উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছেড়ে যায়। এর মধ্যে দোয়েল, এমভি ক্রিস্টাল, শ্রীনগর ৭, এমভি গাজী সালাউদ্দিন উল্লেখযোগ্য। এই লঞ্চগুলো ঢাকা থেকে দুপুর ৩টায় ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ থেকে ৮টার মধ্যে ভোলার ইলিশা ঘাটে পৌঁছায়। ইলিশা ঘাট থেকে সকাল ৮টায় ছেড়ে দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছায়। এছাড়া ঢাকা থেকে বাসে করে বরিশাল বা লক্ষ্মীপুর গিয়ে সেখান থেকে সী-ট্রাকে ভোলা যাওয়া যায়। সড়কপথে বরিশাল বা লক্ষ্মীপুর হয়ে ভোলা যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা।

ভোলা জেলা শহর থেকে বাস, সিএনজি বা অটোরিকশায় করে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘরে পৌঁছানো যায়।

কোথায় থাকবেন

ভোলার সদর রোডে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে হোটেল জেড ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল মারুফ ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল সেবা আবাসিক এবং হোটেল গ্রীন প্যালেস উল্লেখযোগ্য।

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
124.83 কিমি
ভোলা থেকে
2.43 কিমি
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
নিজাম হাসিনা মসজিদ
মতিরহাট সৈকত
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধি
স্বাধীনতা জাদুঘর
কানাই বলাই দিঘী
বিবির পুকুর
চর আলেকজান্ডার
বঙ্গবন্ধু উদ্যান বেলস পার্ক
অক্সফোর্ড মিশন
তিতা খাঁ মসজিদ
পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
দালাল বাজার জমিদার বাড়ি
সুজাবাদ কেল্লা
দুর্গাসাগর দিঘী
রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
তালুকদার বাড়ী
খোয়াসাগর দীঘি
গুটিয়া মসজিদ
জ্বীনের মসজিদ

মন্তব্য

এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন