জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, যা সাধারণত বোটানিক্যাল গার্ডেন নামে পরিচিত, মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানার ঠিক পাশেই অবস্থিত। ২০৮ একর বিস্তৃত এই উদ্যানটি প্রায় ৮০০ প্রজাতির গাছের সংগ্রহশালা। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল, বনজ ও ঔষধি গাছ। গাছপালা ছাড়াও বোটানিক্যাল গার্ডেনে রয়েছে ফুলের বাগান, পুকুর, দীঘি এবং ঘাসে মোড়া সবুজ মাঠ, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য স্থান।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন ঢাকার মতো ব্যস্ত নগরীর মাঝে সবুজ প্রকৃতির শীতল ছোঁয়া পেতে বোটানিক্যাল গার্ডেন এক আদর্শ স্থান। প্রতিবছর হাজারো দর্শনার্থী এই উদ্যান ঘুরে দেখতে আসেন। জাতীয় চিড়িয়াখানার পাশেই এর অবস্থান হওয়ায় অনেকেই দুটি স্থান একই দিনে উপভোগ করেন।
টিকিটের মূল্য
- জনপ্রতি প্রবেশ ফি: ৩০ টাকা
- ৬-১২ বছরের শিশুর জন্য: ১৫ টাকা
- ০-৫ বছরের শিশুর জন্য: বিনামূল্যে
- বিদেশি পর্যটকদের জন্য: ৫০০ টাকা
শিক্ষা সফরে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুযোগ। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ১০০ জনের জন্য প্রবেশ ফি ১,০০০ টাকা এবং ১০০-২০০ জনের জন্য ১,৫০০ টাকা নির্ধারিত।
পরিদর্শনের সময়সূচী
- মার্চ-নভেম্বর: সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা
- ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি: সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট
কিভাবে যাবেন
- গাবতলী বাস টার্মিনাল: লেগুনায় মাত্র ১০ টাকায় সরাসরি বোটানিক্যাল গার্ডেন।
- সদরঘাট: মিরপুর ১ হয়ে বাসে ২৫ টাকায় যাওয়া যায়।
- ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে সিএনজি বা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে সরাসরি যেতে পারবেন।
কোথায় খাবেন
বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনের দোকানগুলোর খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। কেনার আগে মূল্য যাচাই করা বুদ্ধিমানের কাজ। আপনি চাইলে মিরপুর ১ এর গোল চত্বর থেকে হালকা খাবার কিনে নিয়ে আসতে পারেন অথবা ভ্রমণ শেষে পছন্দের জায়গায় খাবার খেতে পারেন।
প্রকৃতির মাঝখানে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর জন্য জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার স্থান। প্রকৃতিপ্রেমী কিংবা পরিবার নিয়ে একদিন কাটানোর জন্য এটি হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য!
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!