রাজধানী ঢাকার কোলাহলপূর্ণ পরিবেশের মাঝেই ধানমন্ডি লেক (Dhanmondi Lake) যেন প্রকৃতির এক মনোরম আশ্রয়। ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় লেকটি "ধানমন্ডি লেক" নামে পরিচিত। সবুজের স্নিগ্ধতা আর জলধারার মিতালি এটিকে ঢাকার মানুষের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় করেছে। তাই প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো কিংবা প্রাণবন্ত আড্ডার সন্ধ্যা কাটাতে দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতি লেকটিকে সবসময়ই মুখরিত করে রাখে।
ধানমন্ডি লেকের পরিবেশ ও সুবিধা
লেকের চারপাশে সাজানো হয়েছে ছায়াঘেরা গাছপালা, হাঁটার রাস্তা, ব্যায়ামের জায়গা, বসার বেঞ্চ, রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুড শপ দিয়ে। আপনি চাইলে অর্থের বিনিময়ে মাছ ধরা কিংবা বোট ভ্রমণের আনন্দও নিতে পারবেন। লেকের অন্যতম আকর্ষণ "রবীন্দ্র সরোবর," যা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টের কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়াও লেকের কাছেই রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন, যা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আকর্ষণীয় স্থানসমূহ
ধানমন্ডি লেকের বিভিন্ন অংশের রয়েছে আলাদা পরিচিতি, যেমন—মেডিনোভা চত্বর, জিয়া চত্বর, জাহাজবাড়ি পয়েন্ট, শুটিং পয়েন্ট, দ্বীপ চত্বর, ব্যাচেলর পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু চত্বর, শেখ রাসেল চত্বর, এবং বটতলা। প্রতিটি স্থান দর্শনার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির।
প্রবেশ ও সময়সূচি
ধানমন্ডি লেকে প্রবেশের জন্য কোনো ফি দিতে হয় না। সকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যে কেউ এই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।
লেকের ইতিহাস
১৯৫৬ সালে পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ধানমন্ডি লেকের সৃষ্টি। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার প্রায় ১৬ শতাংশজুড়ে বিস্তৃত এই লেকটি ২ নম্বর সড়ক থেকে ২৭ নম্বর সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার লম্বা। এটি ২৪০.৭৪ হেক্টর এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে ধানমন্ডি এলাকায় এসে সহজেই রিকশা নিয়ে লেকটিতে পৌঁছানো যায়।
খাবারের ব্যবস্থা
লেকের আশপাশে রয়েছে নানা রকম খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্ট ও ফুড কোর্ট। চাইলে টং দোকানের সাধারণ খাবার থেকে শুরু করে মজাদার রেস্টুরেন্টের বিশেষ ডিশ—সবই উপভোগ করা যাবে।
ধানমন্ডি লেক শুধু একটি লেক নয়; এটি ঢাকার নাগরিকদের জন্য প্রকৃতির সাথে সময় কাটানোর একটি অন্যতম প্রিয় স্থান।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!