বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পেরাব গ্রামে নির্মিত হয়েছে বাংলার তাজমহল, যা ভারতের আগ্রার বিখ্যাত তাজমহলের একটি অনুকরণ। এটি দ্বিতীয় তাজমহল হিসেবেও পরিচিত। নারায়ণগঞ্জের শিল্পপতি ও চলচ্চিত্রকার আহসান উল্লাহ মনি ২০০৩ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন, এবং ২০০৮ সালে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। বাংলার তাজমহলের নকশায় মূল তাজমহলের সঙ্গে সাদৃশ্য রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এর প্রধান ভবনটি মূল্যবান স্বচ্ছ পাথরে তৈরি এবং এর ভিতরে আহসান উল্লাহ মনি ও তার স্ত্রী রাজিয়ার কবর রয়েছে। তাজমহলের চার কোণে রয়েছে বড় মিনার এবং এর সামনে পানির ফোয়ারা, ফুলের বাগান, দর্শনার্থীদের বসার জায়গা।
এছাড়া, বাংলার তাজমহলে রাজমনি ফিল্ম সিটি স্টুডিও ও রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেখানে অতিথিরা ছবি তুলতে পারেন। তাজমহলের পাশে নির্মিত হয়েছে মিসরের পিরামিডের প্রতিরূপ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ভাস্কর্য, একটি ২৫০ আসনবিশিষ্ট সিনেমা হল এবং সেমিনার কক্ষ। তাজমহল এলাকার মধ্যে জামদানি শাড়ি, হস্তশিল্প, মাটির গহনা এবং বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দোকানও রয়েছে।
সময়সূচী ও টিকেট মূল্য
বাংলার তাজমহল প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তাজমহল ও পিরামিডের প্রবেশমূল্য একসাথে পরিশোধ করতে হয়। জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ১৫০ টাকা।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাংলার তাজমহলের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে কুমিল্লা, দাউদকান্দি অথবা সোনারগাঁগামী বাসে চড়ে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে সিএনজি বা অটোরিক্সায় ২৫-৩০ টাকা ভাড়ায় তাজমহল পৌঁছাতে পারবেন। অথবা ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে ভুলতা আসার পর, ৮০-১০০ টাকা ভাড়ায় অটোরিক্সা রিজার্ভ করে তাজমহলে যেতে পারেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব, নরসিংদী বা কিশোরগঞ্জগামী বাসে বরপা বাসস্ট্যান্ডে নেমে সিএনজিতে তাজমহল দেখা সম্ভব।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!