মেরি এন্ডারসন

নারায়ণগঞ্জ সদরের বুড়িগঙ্গা নদীর বুকে ভাসমান এক অনন্য রেস্টুরেন্ট “মেরি এন্ডারসন”। এটি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি আকর্ষণীয় ভাসমান রেস্টুরেন্ট ও বার।

এই ঐতিহাসিক ভাসমান রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হয়েছিল “স্টেট ইয়ট মেরি এন্ডারসন” নামে। ১৯৩৩ সালে কলকাতার শিপইয়ার্ডে ১৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাষ্পীয় ইঞ্জিনচালিত জাহাজ তৈরি করা হয়, যা ব্রিটিশ গভর্নরদের জন্য ব্যবহৃত হতো। ধারণা করা হয়, সেই সময়কার বাংলার গভর্নর স্যার জন এন্ডারসনের মেয়ে মেরি এন্ডারসনের নামে এই জাহাজের নামকরণ করা হয়।

পর্যটন কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯১৮ সালে ইংল্যান্ডের রাণী এলিজাবেথ এই জাহাজে ভ্রমণে এসেছিলেন এবং পরবর্তীতে এটি বাংলাদেশ সরকারকে উপহার দেন। এরপর পূর্ব বাংলার গভর্নররা এটি ব্যবহার করতেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে জাহাজটি রাষ্ট্রপতির জন্য সংরক্ষিত ছিল। পরবর্তীতে, ১৯৭৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এটি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উদ্যোগে ভাসমান রেস্টুরেন্ট হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করে।

আকর্ষণীয় সুবিধা

এই পুরনো ব্রিটিশ বিলাসবহুল জাহাজে এখন মাত্র ৩০০০ টাকায় রাত্রিযাপনের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ভাড়া নেওয়া যায়। যারা ঘন্টাপ্রতি কক্ষ ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য ভাড়া ৮০০ টাকা। মাঝ নদীতে বসে এখানকার রেস্টুরেন্টের খাবার উপভোগ করা সত্যিই একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

ঢাকা শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ভাসমান রেস্টুরেন্ট ইতোমধ্যেই একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

যোগাযোগ

মোবাইল: 01998-843288, 01998-843289

কীভাবে যাবেন?

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডের পাগলা বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস, রিকশা বা অটোরিকশায় মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে ফতুল্লার পাগলায় অবস্থিত মেরি এন্ডারসন ভাসমান রেস্টুরেন্ট পৌঁছানো যাবে। বুড়িগঙ্গা নদীর বুকের এই রেস্টুরেন্ট আপনার ভ্রমণকে আরও স্মরণীয় করে তুলবে।

মেরি এন্ডারসন এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
17.36 কিমি
নারায়ণগঞ্জ থেকে
3.44 কিমি
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
হাজীগঞ্জ দুর্গ
সদরঘাট
আহসান মঞ্জিল
সোনাকান্দা দুর্গ
আর্মেনিয়ান চার্চ
পদ্মহেম ধাম
লালবাগ কেল্লা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
রমনা পার্ক ঢাকা
ফুলের গ্রাম সাবদি
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
সায়রা গার্ডেন রিসোর্ট
কাইকারটেক হাট
বাবা আদম মসজিদ
সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সমাধি
পোলঘাটা সেতু
হাতিরঝিল
ঢাকা ধানমন্ডি লেক
রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাল ভবন

মন্তব্য

এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন