বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন শহর নীলফামারীর সৈয়দপুর, যা বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে সমৃদ্ধ। তবে শহরটি মূলত পরিচিত দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানার জন্য, যাকে বলা হয় 'রেলের শহর'। ১৮৭০ সালে ১১০ একর জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত এই কারখানায় রেল লাইনের ব্রডগেজ ও মিটারগেজ বগি মেরামত থেকে শুরু করে নাট-বল্টু তৈরি পর্যন্ত নানা ধরনের কাজ সম্পন্ন হয়।
রেলওয়ে কারখানার অফিস চত্বরের সবুজ প্রাঙ্গণে ১৯৭২ সালে বাগেরহাট-রূপসা সেকশনে চলা ব্রিটিশ আমলের একটি ন্যারোগেজ ইঞ্জিন সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৯০১ সালে ইংল্যান্ডের ভলকান কোম্পানির তৈরি ঐতিহ্যবাহী আরও কিছু ইঞ্জিন লোকো ট্রান্সপোর্ট মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এখানে শিক্ষা সফরে আসেন, যা সৈয়দপুরের রেল ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করে।
সৈয়দপুরে যাতায়াতের সহজ উপায়
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ও চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে সৈয়দপুর যাওয়া যায়। ট্রেনের টিকিটের মূল্য আসনভেদে ৫৮০ থেকে ১৯৯৬ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বাসে যেতে চাইলে গাবতলী ও মহাখালী থেকে সরাসরি সৈয়দপুরগামী বাস পাওয়া যায়, যেখানে জনপ্রতি ভাড়া ৮০০-৯৫০ টাকা।
আর দ্রুত ভ্রমণ করতে চাইলে আকাশপথ বেছে নিতে পারেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে সহজেই সৈয়দপুর পৌঁছানো সম্ভব।
সৈয়দপুরে থাকার ব্যবস্থা
সৈয়দপুরে রাতযাপনের জন্য বেশকিছু ভালো মানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। উত্তরা ইপিজেডের কাছাকাছি দিয়াজ হোটেল এন্ড রিসোর্টস একটি চমৎকার অপশন হতে পারে। এছাড়া শহরের সৈয়দপুর রোডে বনফুল, এবাদত প্লাজায় অবস্থিত অবকাশ, কিংবা নাভানা আবাসিক হোটেলে আরামদায়ক পরিবেশে থাকতে পারেন।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!