দিনাজপুর শহরের নিকটে অবস্থিত দিনাজপুর রাজবাড়ী (Dinajpur Rajbari) দীর্ঘদিন ধরে এই জেলার ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ১৯৫১ সালে জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর রাজবাড়ীর প্রভাব কিছুটা হ্রাস পায়। দিনাজপুর রাজবাড়ীর শেষ জমিদার, জগদীশনাথ, ১৯৬২ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে, এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে টিকে আছে।
রাজবাড়ীর প্রধান স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুমার মহল, আয়না মহল, রাণী মহল, লক্ষ্মী ঘর, আটচালা ঘর, ঠাকুর বাড়ি, কালীয়া জিউ মন্দির, আতুর ঘর, রাণী পুকুর, চাঁপা তলার দিঘী এবং আরও অনেক। এছাড়াও, এই রাজবাড়ী থেকে পাওয়া ঐতিহাসিক জিনিসপত্র ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় জাদুঘর এবং দিনাজপুর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাস অথবা ট্রেনে দিনাজপুরে পৌঁছানো সম্ভব। গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে দিনাজপুরগামী বাস চলাচল করে, যেমন নাবিল পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস, এস এ পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, কেয়া পরিবহন এবং শ্যামলী পরিবহন। বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা বাসের সুবিধা অনুসারে ভিন্ন হতে পারে।
ঢাকার কমলাপুর অথবা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস এবং পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন দিনাজপুরের দিকে রওনা দেয়। ট্রেনের টিকিটের মূল্য শ্রেণীভেদে ৫৭৫ থেকে ১৯৭৮ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
দিনাজপুর শহর থেকে অটোরিকশা বা রিকশা নিয়ে সরাসরি রাজবাড়ীতে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
দিনাজপুর শহরে ভালো মানের হোটেলে থাকতে চাইলে পর্যটন মোটেলে (0531-64718) যোগাযোগ করা যেতে পারে। এখানে রাত্রিযাপন জন্য রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া, দিনাজপুরে অবস্থিত অন্যান্য হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল ডায়মন্ড, নিউ হোটেল, হোটেল আল রশিদ, হোটেল রেহানা এবং হোটেল নবীন উল্লেখযোগ্য।
কোথায় খাবেন
দিনাজপুরে রুস্তম, ফাইভ স্টার এবং দিলশাদ হোটেলে গরুর ভুনা মাংস, কাঠি কাবাব এবং দিলশাদ রেস্তোরাঁর পাটিসাপটা চেষ্টা করা যেতে পারে। এছাড়া, পুলাহাট বিসিক এলাকার আবুল হোটেলে ভাত, গরু অথবা মুরগির মাংস, ডাল এবং সবজি দিয়ে খাবারের জন্য যেতে পারেন।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!