বিল রুট ক্যানেল (Bill Root Canal) মাদারীপুর-গোপালগঞ্জ মহাসড়ক ও আড়পাড়া মুন্সীবাড়ির পাশ দিয়ে সরল পথে প্রবাহিত একটি ঐতিহ্যবাহী খাল। এই ক্যানেলের মাধ্যমে টেকেরহাট এলাকায় আড়িয়াল খাঁ ও মধুমতি নদী একত্রিত হয়েছে। মাদারীপুর জেলার বেশিরভাগ ছোট বড় খাল ও জলাভূমি এই ক্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছে, তাই স্থানীয়রা একে মাদারীপুর বিল রুট নামেও চেনে। স্যার আরথার কটন ১৮৫৮ সালে খাল খননের প্রস্তাব দিলেও ১৮৯৯ সালে এর খনন কাজ শুরু হয় এবং ১৯১৪ সালে এটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
বাংলার সুয়েজ খাল হিসেবে পরিচিত বিল রুট ক্যানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার, প্রস্থ ৪০০ ফুট এবং গভীরতা প্রায় ৩০ ফুট। এই ক্যানেল বা কাটা মধুমতির খনন কাজের ফলে খুলনা থেকে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার জলপথে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। আড়পাড়া হয়ে ফেরার পথে এই খাল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আড়িয়াল খাঁ ও মধুমতি নদীর মিলনস্থলের গভীরতা বেশি হওয়ায় এখানে শুশুক বা দেশি ডলফিন দেখা যায়। পূর্ণিমার রাতে এই ক্যানেলে চাঁদের প্রতিফলন এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়ক ও নৌপথে গোপালগঞ্জ যাওয়া যায়। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে গোপালগঞ্জগামী পলাশ, কমফোর্ট, টুংগীপাড়া এক্সপ্রেস, সোহেল, রাজধানী, বিআরটিসি, মধুমতি বাসগুলো পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করে। এসি/নন-এসি বাসে ভাড়া ৫০০-৯০০ টাকা। এসব বাসে চড়ে টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বিল রুট ক্যানেলের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে হোটেল পলাশ, হোটেল রানা (02-6685172), হোটেল তাজ, হোটেল সোহাগ (0668-61740), হোটেল রিফাত, এবং হোটেল শিমুল রয়েছে। এসব হোটেলের রুম ভাড়া ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া গোপালগঞ্জের জেলা পরিষদ কটেজ (যোগাযোগ: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, ফোন: 0668-61204) এবং গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজ (ডেপুটি কালেক্টর, ফোন: 02-6685234, 02-6685565) থেকেও থাকার ব্যবস্থা পাওয়া যাবে।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!