গোপালগঞ্জ জেলার ভাটিয়াপাড়ায় মধুমতি নদীর তীরে ঐতিহাসিক গিরিশ চন্দ্র সেনের জমিদার বাড়ি অবস্থিত। জমিদার গিরিশ চন্দ্র সেন ঠিক কবে এই বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। ইংরেজি “U” বর্ণের আকৃতিতে তৈরি এই মনোমুগ্ধকর বাড়িটির মাঝখানে একটি দ্বিতল ভবন এবং দুই পাশে একতলা ভবন রয়েছে। দ্বিতল ভবনের মধ্যে রয়েছে দুটি কক্ষ ও দুটি বারান্দা। জমিদার বাড়ির চারপাশ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা, যার বামপাশে একটি মন্দির এবং ডান পাশে ছনের ছাউনি দেওয়া একটি কাছারি ঘর ছিল। মূল ভবনের পেছনে তিনটি কক্ষ বিশিষ্ট একটি একতলা ভবন ছিল, যা রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহৃত হত। প্রচুর গাছপালায় ঘেরা এই জমিদার বাড়ির সামনে একটি পুকুর রয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য গিরিশ চন্দ্র সেন খনন করেছিলেন। বর্তমানে কাশিয়ানি এম.এ. খালেক ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ গিরিশ চন্দ্র সেনের জমিদার বাড়িতে বসবাস করছেন।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী বা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে পলাশ, ইমাদ, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, গোল্ডেন লাইন, গ্রিনলাইন, কমফোর্ট, রাজধানী ও বিআরটিসি বাসে ঢাকা-গোপালগঞ্জ রুটে ভ্রমণ করা যায়। এসি ও নন-এসি বাসের ভাড়া ৫০০-৯০০ টাকার মধ্যে পড়বে। গোপালগঞ্জের পুলিশ লাইন বা ঘোনাপাড়া নেমে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, নসিমন বা বাসে ভাটিয়াপাড়ায় আসা যায়। সেখান থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে জমিদার বাড়ি।
তাছাড়া, ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলায় নেমে সিএনজিতে গিরিশ চন্দ্র সেনের জমিদার বাড়িতে যাওয়া সম্ভব।
কোথায় থাকবেন
গোপালগঞ্জ শহরে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হোটেল মধুমতি, হোটেল রানা, পলাশ গেস্ট হাউজ, হোটেল শিমুল, হোটেল সোহাগ, হোটেল রিফাত ও হোটেল জিমি।
কোথায় খাবেন
কাশিয়ানি উপজেলা বা ভাটিয়াপাড়ায় সাধারণ বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। গোপালগঞ্জ শহরে বিভিন্ন মানের বাঙালি, চাইনিজ খাবারের রেস্টুরেন্ট এবং ফাস্টফুড শপ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু রোড সংলগ্ন লেক ভিউ ক্যাফে, ভূতের বাড়ি, বারবিকিউ টুনাইট এবং এফএনএফ রেস্টুরেন্ট এখানকার জনপ্রিয় খাবারের জায়গা।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!