রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে অবস্থিত দুটি পুরাতন মন্দির একসঙ্গে পরিচিত জোড় বাংলা মন্দির (Jor Bangla Mandir) নামে। এ মন্দিরের একটি এখনো চূড়াসহ অটুট থাকলেও, অপরটির চূড়া ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৬৫৫ সালে উড়িষ্যার গৌড়ীয় স্থাপত্যশৈলীতে রাজা সীতারাম রায় এই মন্দির নির্মাণ করেন এবং বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে শ্রী কৃষ্ণ রাম চক্রবর্তী রাজা সীতারাম রায়ের অনুরোধে নলিয়া গ্রামে আসেন এবং মন্দির ও বিগ্রহের দেখাশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলি থেকে রাবেয়া, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, রাজবাড়ী পরিবহণ, সপ্তবর্ণা, সাউদিয়া সহ বিভিন্ন বাসে চড়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে রাজবাড়ী যাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি আনুমানিক ৫০০ টাকা।
এছাড়া ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজবাড়ী পৌঁছানো যায়। আসনভেদে ট্রেনের ভাড়া ৩৪০ থেকে ৭৮২ টাকা হতে পারে।
রাজবাড়ী থেকে সরাসরি জোড় বাংলা মন্দিরের উদ্দেশ্যে যানবাহন পাওয়া যায়। এছাড়া বালিয়াকান্দি পর্যন্ত বাস বা অন্য পরিবহন নিয়ে, সেখান থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মন্দিরে ইজিবাইক, বাস বা স্থানীয় যানবাহনে সহজেই যাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলা থেকেও জোড় বাংলা মন্দিরে পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন?
রাজবাড়ী শহরে থাকার জন্য সরকারি ডাকবাংলোসহ বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অপশন—
- হোটেল পার্ক
- কেনটন চাইনিজ হোটেল ও রেস্তোরাঁ
- গুলশান বোডিং
- প্রাইম হোটেল
- পাংশা ডাকবাংলো
- বালিয়াকান্দি ডাকবাংলো
- গোয়ালন্দ ডাকবাংলো
কোথায় খাবেন?
রাজবাড়ীতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও খাবারের দোকান রয়েছে যেখানে পছন্দসই খাবার পাওয়া যায়। এছাড়াও, স্থানীয় কিছু জনপ্রিয় খাবার চেখে দেখতে পারেন—
- পান বাজারের ভাদু শাহার দোকানের চমচম
- রেলগেট এলাকার হৈরা শাহের চপ
- ঝালাই পট্টির কুলফি মালাই
এটি রাজবাড়ীর একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা যা মন্দির স্থাপত্য ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!