আমদহ গ্রামের স্থাপত্য

মেহেরপুর জেলা শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক আমদহ গ্রাম। প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই এলাকা প্রায় ১ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এবং এটি পরিখা দ্বারা বেষ্টিত। ইতিহাসবিদদের মতে, আমদহ গ্রামের এই ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনাগুলো রাজা গোয়ালা চৌধুরী ও বগা দস্যুদের মধ্যকার এক যুদ্ধের স্মৃতি বহন করে।

যদিও বর্তমানে এখানে তেমন কোন দৃশ্যমান প্রাচীন স্থাপনা নেই, তবে এই স্থানের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্তম্ভ এখনো সংরক্ষিত আছে এবং এটি মেহেরপুরের পুরাতন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রদর্শিত হচ্ছে।

যেভাবে যেতে পারেন

ঢাকা থেকে সড়কপথে পদ্মা সেতু ব্যবহার করে মেহেরপুর পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। ঢাকা-মেহেরপুর রুটে চলাচলকারী জনপ্রিয় বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স
  • পূর্বাশা পরিবহন
  • এম.এম. পরিবহন
  • দর্শনা ডিলাক্স
  • শ্যামলী পরিবহন
  • মেহেরপুর ডিলাক্স
  • জে.আর পরিবহন

বাসের ভাড়া গন্তব্য ও সার্ভিস মান অনুযায়ী ৬০০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।

মেহেরপুর জেলা সদর থেকে ইজিবাইক বা রিকশা ব্যবহার করে সহজেই পৌঁছাতে পারেন আমদহ গ্রামে।

কোথায় থাকবেন

মেহেরপুর শহরে থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল ও আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

  • সার্কিট হাউজ
  • পৌর হল গেস্ট হাউজ
  • ফিন টায়ার আবাসিক হোটেল
  • কামাল আবাসিক হোটেল
  • মিতা আবাসিক হোটেল

কোথায় খাবেন

মেহেরপুর শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পেতে পারেন স্বাদে ভরপুর দেশীয় খাবার। বিশেষ করে “সাবিত্রী” নামক স্থানীয় একটি মিষ্টির নাম সবাই জানে, যা একবার খেলে ভুলে যাওয়া কঠিন। আর আমের মৌসুমে মেহেরপুরে গেলে সেখানকার সুস্বাদু পাকা আম অবশ্যই চেখে দেখবেন।

আমদহ গ্রামের স্থাপত্য এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
181.14 কিমি
মেহেরপুর থেকে
5.11 কিমি
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
আমঝুপি নীলকুঠি
সাবিত্রী ও রসকদম্ব মিষ্টি
সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির
মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স
আট কবর
ভাটপাড়া নীলকুঠি
নীলকুঠি ও ডিসি ইকোপার্ক
মেহেরুন শিশু পার্ক
পুলিশ পার্ক
ঠাকুরপুর জামে মসজিদ
কেরু এন্ড কোং
দর্শনা
আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি
ঘোলদাড়ী শাহী মসজিদ
ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

মন্তব্য

এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন