রানী ভবানীর বাপের বাড়ি

বগুড়া জেলার সান্তাহারের ছাতিয়ানগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ঐতিহ্যবাহী নারী রানী ভবানী। বর্তমানে সংরক্ষণের অভাবে তার বাপের বাড়িটি (Rani Bhabani’s Father House) ধ্বংসের পথে।

রানী ভবানীর জন্ম ও শৈশব

জনশ্রুতি অনুযায়ী, সপ্তদশ শতাব্দীতে ছাতিয়ানগ্রামের জমিদার আতারাম চৌধুরী নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি একটি পুকুরের পাড়ে দেবতার উদ্দেশ্যে সাধনা করেন, যার ফলে তার স্ত্রীর গর্ভে এক কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। এই শিশুর নাম রাখা হয় ভবানী। যেখানে জমিদার সিদ্ধিলাভ করেছিলেন, সেই স্থান পরে সিদ্ধেশ্বরী নামে পরিচিত হয়।

বিবাহ ও শর্ত

ভবানীর বয়স যখন ১০ বছর, তখন তার জন্য নাটোরের রাজকুমার রামকান্তের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে। ভবানী তিনটি শর্তে বিয়েতে রাজি হন—

  1. বিয়ের পর আরও এক বছর তিনি বাবার বাড়িতে থাকবেন।
  2. ছাতিয়ানগ্রামে প্রতিদিন একটি করে পুকুর খনন করতে হবে।
  3. ছাতিয়ানগ্রাম থেকে নাটোর পর্যন্ত লাল সালুর কাপড় দিয়ে ছাউনি নির্মাণ করতে হবে এবং প্রজাদের ভূমিদান দিতে হবে।

এই শর্তগুলোর চিহ্ন এখনো ছাতিয়ানগ্রামে বিদ্যমান।

জমিদারি ও রাজনৈতিক ভূমিকা

১৭৪৮ সালে রাজা রামকান্তের মৃত্যুর পর রানী ভবানী নাটোরের জমিদারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৮০২ সাল পর্যন্ত এটি পরিচালনা করেন। জানা যায়, নবাব সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সময় তাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি ইংরেজদের বিরোধিতা করেছিলেন।

কিভাবে যাবেন?

ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে শ্যামলী, হানিফ, এস আর, বাবলু, টি আর পরিবহনের বাস বগুড়ার সান্তাহারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৬৫০-৭০০ টাকা।

এছাড়া কমলাপুর থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, চিলাহাটি এক্সপ্রেস, দ্রুতজান এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে সান্তাহার পৌঁছানো যায়। ট্রেনের আসনভেদে ভাড়া ৫২৫-১,৮৫০ টাকা। সান্তাহার থেকে মাত্র ২০-৩০ টাকা রিকশা ভাড়ায় রানী ভবানীর বাপের বাড়িতে যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন?

সান্তাহারে বেশ কিছু মাঝারি মানের আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেখানে রাত্রিযাপন ও খাবারের ভালো ব্যবস্থা পাওয়া যায়।

রানী ভবানীর বাপের বাড়ি এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
159.36 কিমি
বগুড়া থেকে
61.89 কিমি
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
রাণী ভবানী নাটোর রাজবাড়ী
নাটোরের কাঁচাগোল্লা
উত্তরা গণভবন
পুঠিয়া রাজবাড়ী
হালতির বিল
শহীদ সাগর
রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী
গ্রীন ভ্যালী পার্ক
চলন বিল
চলনবিল জাদুঘর
উৎসব পার্ক
বাঘা মসজিদ
শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা
চাটমোহর শাহী মসজিদ
পাকশী রিসোর্ট
শিশু পার্ক
হার্ডিঞ্জ ব্রীজ
লালন শাহ সেতু
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা

মন্তব্য

এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন