জ্যাকব টাওয়ার বা চরফ্যাশন টাওয়ার ভোলা জেলার চরফ্যাশনে অবস্থিত উপমহাদেশের সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ার। আইফেল টাওয়ারের অনুকরণে নির্মিত এই ১৬ তলা বিশিষ্ট টাওয়ারে প্রতিটি তলায় ৫০ জন এবং পুরো টাওয়ারে একসাথে ৫০০ জন দর্শক অবস্থান করতে পারবেন। আধুনিক এই জ্যাকব ওয়াচ টাওয়ারে পর্যটকদের জন্য সিঁড়ি দিয়ে চূড়ায় উঠার পাশাপাশি ১৬ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্বচ্ছ গ্লাসের ক্যাপসুল লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে। ২২৫ ফুট উচ্চতার এই টাওয়ার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় ও উচ্চতম টাওয়ার হিসেবে পরিচিত।
সম্পূর্ণ স্টিল কাঠামোতে নির্মিত এই টাওয়ার ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল। টাওয়ারের চারপাশে স্বচ্ছ গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। ১৭তম তলায় রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা। বাইনোকুলারের সাহায্যে আপনি ১০০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত টাওয়ারের চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। ভোলার আশেপাশের মনপুরা দ্বীপ, চর কুকরী-মুকরী দ্বীপ, ঢালচর, তারুয়া সৈকত, বঙ্গোপসাগর ও পটুয়াখালী হাইরেজুলেশন এই বাইনোকুলারের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। টাওয়ারে বিশ্রাম, প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
প্রবেশ ফি: পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পরিচালিত এই টাওয়ারে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিতে হবে।
যাওয়ার উপায়
ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রিন্স অফ রাসেল-৪, কর্ণফুলী-৪, নিউ সাব্বির ২ ও ৩ লঞ্চে চড়ে ভোলার ঘোষের হাট লঞ্চ টার্মিনালে যেতে হবে। এসব লঞ্চের ডেকের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং ডাবল কেবিন ভাড়া ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা। ঘাট থেকে ১৫০ টাকা মোটরসাইকেল ভাড়া করে বা ৭০ থেকে ৮০ টাকা ভাড়ায় টেম্পোতে চড়ে চরফ্যাশন সদরে পৌঁছানো যাবে।
থাকা ও খাওয়া
চরফ্যাশন উপজেলা সদরে মোটামুটি মানের কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। লালমোহন-চরফ্যাশন রোডের হোটেল মারুফ তুলনামূলক ভালো। এছাড়াও সেবা হোটেল, হোটেল গোল্ডলিফ, হোটেল ফ্যাশন, হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি হোটেলে থাকা যাবে। খাওয়ার জন্য স্থানীয় খাবার হোটেলগুলোতে খেতে পারেন।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
চরফ্যাশনের কাছাকাছি জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থানগুলোর মধ্যে চর কুকরী-মুকরী এবং মনপুরা দ্বীপ উল্লেখযোগ্য।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!