ভোলা জেলা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহাসিক তালুকদার জমিদার বাড়ি। স্থানীয়ভাবে এটি "দেউলা জিন্নাতুল্লা তালুকদার বাড়ি" (Talukder Bari) নামে পরিচিত। প্রায় ১৮০ বছর আগে, ভোলার ২৭টি মৌজার মালিক জমিদার বোরহানউদ্দিন এই প্রাসাদসম বাড়িটি নির্মাণ করেন।
স্থাপত্য ও পরিবেশ
বাড়িটি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালিতে ঘেরা, যা একে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়ানো এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেয়। মূল বাড়িটির আশেপাশে কয়েকটি ছোট বাড়ি রয়েছে। তালুকদার বাড়ির পূর্ব-উত্তর পাশে একটি বিশাল দীঘি এবং একটি পুরোনো মসজিদ রয়েছে। তবে এই বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো এর দৃষ্টিনন্দন হল রুম। বর্তমানে জমিদার বংশধরেরা এখানে বসবাস করলেও যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে বাড়িটির সৌন্দর্য কিছুটা ম্লান হয়ে গিয়েছে।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে ভোলা জেলায় সড়ক ও নৌপথে যাতায়াত করা যায়, তবে নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক। সদরঘাট থেকে বেশকিছু লঞ্চ ঢাকা-ভোলা রুটে চলাচল করে। ভোলা পৌঁছে বাস বা সিএনজিযোগে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এসে স্থানীয় বাহনে তালুকদার জমিদার বাড়িতে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
ভোলা জেলায় থাকার জন্য বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে, যেমন:
- দ্যা পাপিলন হোটেল
- হোটেল বে আইল্যান্ড
- ক্রিস্টাল ইন
- হোটেল জেড ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল আহসান
- হোটেল জাহান
- হোটেল গোল্ডেন প্লাজা
- মাহবুবা ইন্টারন্যাশনাল
- রয়েল প্যালেস
- হোটেল শাপলা
- হোটেল প্যারাডাইস
- হোটেল আফরোজ
- হোটেল হাবিব
কোথায় খাবেন?
ভোলা থেকে তালুকদার বাড়ি যাওয়ার পথে বেশ কিছু ভালো মানের রেস্তোরাঁ পাবেন, যেমন:
- বিএফসি
- জুয়েল ফুড স্টোর
- চায়না গার্ডেন চাইনিজ ও বিরিয়ানি হাউজ
- ফুড সমাহার
এছাড়াও, ভোলা সদর উপজেলায় আরও অনেক ভালো মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে। সুযোগ থাকলে ঘুইঙ্গার হাটের মিষ্টি ও ঘোষের দধি স্বাদ নেওয়ার কথা ভুলবেন না!
ভোলার দর্শনীয় স্থান
তালুকদার জমিদার বাড়ি ছাড়াও ভোলার বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন:
- বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল জাদুঘর
- স্বাধীনতা জাদুঘর
- নিজাম হাসিনা মসজিদ
- জ্যাকব টাওয়ার
- চর কুকরি মুকরি
- মনপুরা দ্বীপ
এই ঐতিহাসিক জমিদার বাড়িটি ভোলার একটি আকর্ষণীয় স্থান, যা ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য সত্যিই দেখার মতো।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!