শাহপরীর দ্বীপ বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সর্ব দক্ষিণের একটি ঐতিহাসিক স্থান। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি গ্রাম। টেকনাফ থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই দ্বীপের জনসংখ্যা মাত্র ৪০ হাজার। এখানকার বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা মাছধরা ও লবণ চাষ। দ্বীপে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই রয়েছে। শোনা যায়, বর্তমানে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও অতীতে এটি ছিল একটি স্বতন্ত্র দ্বীপ।
শাহপরীর দ্বীপের বিশেষ সতর্কতা
দ্বীপে কোনো লাইফগার্ড না থাকায় সাগরের জোয়ার-ভাটার সময় জানার জন্য নিজস্ব উদ্যোগ নিতে হয়। ভাটার সময় সাগরে নামা বিপদজনক, তাই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কী দেখবেন শাহপরীর দ্বীপে
- সমুদ্র সৈকত: দ্বীপে রয়েছে তিনটি মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকত।
- দৃশ্যমান স্থান: এখান থেকে মায়ানমারের মংডু প্রদেশ, আরাকানের পাহাড় এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেখা যায়।
- জীবনযাত্রা: জেলেদের সংগ্রামী জীবন এবং বিস্তীর্ণ লবণ চাষের জমি পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করে।
- অন্য আকর্ষণ: রোহিঙ্গা শিবির, আদিবাসী পাড়া, পাহাড়ি গুহা এবং মাথিনের কূপ দেখে নিতে পারেন। চাইলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বোট বা ট্রলারে ঘুরে আসা যায়। ক্যাম্পিংয়ের জন্য দ্বীপের পরিবেশ উপযোগী।
কিভাবে যাবেন
- ঢাকা থেকে: সরাসরি বাসে টেকনাফ যাওয়া যায়।
- কক্সবাজার থেকে: সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন বাস টেকনাফে যায়। প্রায় ২-২.৫ ঘণ্টার পথ। ভাড়া ১৪০ টাকা। লোকাল বা রিজার্ভ সিএনজিতেও যেতে পারেন।
- টেকনাফ থেকে শাহপরীর দ্বীপ: শুকনো মৌসুমে সিএনজিতে ৪০-৪৫ মিনিট লাগে, ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। বর্ষাকালে নৌকা বা ট্রলারের সাহায্য নিতে হয়।
থাকার ব্যবস্থা
- শাহপরীর দ্বীপে: এলজিইডি বাংলোতে ২০০-৪০০ টাকায় থাকা যায়।
- টেকনাফে: বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল নে টং সবচেয়ে ভালো অপশন। ভাড়া নন-এসি ডাবল রুম ১৩০০ টাকা, এসি ডাবল রুম ১৯০০ টাকা, এবং এসি স্যুইট ৩১০০ টাকা। ফোন: ০৩৪২৬-৭৫১০৪।
শাহপরীর দ্বীপে ভ্রমণ সবুজ প্রকৃতি, সমুদ্র আর মানুষের জীবনযাত্রার ভিন্ন রূপ দেখার এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!