ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হরিণমারী শিব মন্দির (Harinmari Shiv Temple) একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন। প্রায় ৪০০ বছর পুরোনো এই মন্দিরটির উচ্চতা ৩০ ফুট, আর মন্দিরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১৪x১৪ ফুট। বর্গাকৃতির এই মন্দিরটি চারচালা নকশায় তৈরি, যার দক্ষিণমুখী দরজায় পোড়ামাটির ফলকে লতাপাতা ও বিভিন্ন দেব-দেবীর কারুকার্য খোদাই করা হয়েছে। মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি বড় পুকুর, যা স্থানীয়দের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তবে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মন্দিরের ছাদসহ কিছু অংশ ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
যাতায়াত ব্যবস্থা
হরিণমারী শিব মন্দির দেখতে প্রথমে আপনাকে ঠাকুরগাঁও পৌঁছাতে হবে। ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাস সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলি পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, নাবিল পরিবহন, বাবলু এন্টারপ্রাইজ ও কেয়া পরিবহন। এসি ও নন-এসি বাসের ভাড়া ৮০০-১৮০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
ট্রেনে যেতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস বা দ্রুতযান এক্সপ্রেসে ঠাকুরগাঁও নামতে পারেন। ট্রেনের টিকিটের দাম ক্লাস অনুযায়ী ৬৫০ থেকে ২,২৩৭ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে ইজিবাইক বা স্থানীয় ভ্যানে চড়ে সহজেই মন্দিরে পৌঁছানো যায়।
থাকার ব্যবস্থা
ঠাকুরগাঁওয়ে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল ও রেস্ট হাউজ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোটেলগুলো হলো:
- হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল শাহ্ জালাল
- হোটেল সাদেক
এছাড়া জেলা পরিষদের রেস্ট হাউজ বা সার্কিট হাউজে আগেভাগে অনুমতি নিয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে।
খাবারের ব্যবস্থা
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় কিছু মধ্যম মানের হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেখানে স্থানীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
ঠাকুরগাঁও জেলার আরও দর্শনীয় স্থান
ঠাকুরগাঁও ভ্রমণে গেলে আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারেন:
- বালিয়া মসজিদ
- ফান সিটি শিশু পার্ক
- জামালপুর জমিদার বাড়ি
- লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘর
- বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপুরী আমগাছ
- রাজা টংকনাথের রাজবাড়ী
এই প্রাচীন স্থাপনাগুলো আপনাকে ঠাকুরগাঁওয়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত করাবে।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!