ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ এলাকা থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জগদল রাজবাড়ি। ধারণা করা হয়, ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে রাজকুমার শ্রী বীরেন্দ্র কুমার নাগর এই রাজবাড়িটি নির্মাণ করেন। রাজবাড়ির কাছেই তীরনই নদীর মোহনায় একটি মন্দির ছিল, যার এখন শুধুমাত্র ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। ইতিহাসপ্রেমী বীরেন্দ্র কুমার তাঁর ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারের অনেক বই ১৯৪৮ সালে তৎকালীন সুরেন্দ্রনাথ কলেজে (বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজ) দান করেছিলেন।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও যেতে পারেন বিভিন্ন পরিবহনের বাসে, যেমন কর্ণফুলি, হানিফ, নাবিল, বাবলু বা কেয়া পরিবহন। এসি ও নন-এসি বাসের ভাড়া সাধারণত ৮০০-১৮০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ট্রেনে যেতে চাইলে কমলাপুর স্টেশন থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস বা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে ঠাকুরগাঁও নামতে পারেন। ট্রেনের ভাড়া ক্লাস অনুযায়ী ৬৫০ থেকে ২২৩৭ টাকা পর্যন্ত হয়।
ঠাকুরগাঁও শহর থেকে বাস, সিএনজি বা মাইক্রোবাসে রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ পৌঁছে সেখান থেকে ইজিবাইক বা ভ্যানে জগদল রাজবাড়ি যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
ঠাকুরগাঁও শহরে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল আছে, যেমন:
- হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল
- হোটেল শাহ্ জালাল
- হোটেল সাদেক
কোথায় খাবেন
রানীশংকৈল এবং নেকমরদ এলাকায় কিছু স্থানীয় রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায়, যেমন:
- মৌচাক রেস্টুরেন্ট
- আরিজুল হোটেল
- সাহা আলম হোটেল
ঠাকুরগাঁও শহরে আরও ভালো মানের রেস্টুরেন্টের মধ্যে আছে:
- গাউসিয়া রেস্টুরেন্ট
- নিউ সুরুচি রেস্টুরেন্ট
- হাজী বিরিয়ানি হাউজ
ঠাকুরগাঁওয়ের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
জগদল রাজবাড়ি ছাড়াও ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুরে দেখতে পারেন:
- বালিয়াডাঙ্গী সূর্যপূরী আমগাছ
- বালিয়া মসজিদ
- ফানসিটি পার্ক
এভাবে আপনারা সহজেই জগদল রাজবাড়ি ঘুরে আসতে পারেন এবং ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহাসিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন!
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!