সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরত্বে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন — ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির। এই মন্দির দুটি স্থানীয়দের কাছে পরিচিত “ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির” নামে।
বাংলা ১২২০ সনের ১লা বৈশাখ, ফকিরচাঁদ ঘোষ এই মন্দির দুটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। মন্দির দুটি টেরাকোটা ইট দিয়ে তৈরি, এবং প্রতিটি মন্দিরের মাপ প্রায় ১৫ ফুট ৯ ইঞ্চি বর্গাকৃতির। মন্দিরের গায়ে খোদাই করা রয়েছে বিভিন্ন টেরাকোটা শিল্পকর্ম — ফুল, লতা-পাতা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিল্পী, দেব-দেবী, অশ্বারোহী এবং রূপকথার চরিত্রের অসাধারণ চিত্র।
যদিও বর্তমানে মন্দিরগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে, তবুও টেরাকোটার দৃষ্টিনন্দন কাজ দেখতে প্রতিবছর অনেক দর্শনার্থী ছুটে আসেন ছয়ঘরিয়ায়।
ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দিরে কিভাবে যাবেন?
ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর, নবীনগর, সাভার ও শ্যামলী থেকে সাতক্ষীরাগামী এসি ও নন-এসি বাস চলাচল করে। জনপ্রিয় বাস সার্ভিসগুলোর মধ্যে রয়েছে —
SP Golden Line, AK Travels, Green Line, Mamun Enterprise, Eagle, Shohag, Saudia, Shyamoli এবং Satkhira Express।
বাসভেদে টিকিটের মূল্য ৬৫০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
সাতক্ষীরা শহর থেকে রিকশা, ভ্যান কিংবা লোকাল বাসে করে সহজেই ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দিরে পৌঁছে যাওয়া যায়।
থাকার জায়গা
সাতক্ষীরা শহরে বেশ কিছু মানসম্পন্ন আবাসিক হোটেল রয়েছে। যেসব হোটেলে ভালো সার্ভিস পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
হোটেল সংগ্রাম, হোটেল সম্রাট, হোটেল সীমান্ত, মোজাফ্ফর গার্ডেন, হোটেল মোহনা ও হোটেল উত্তরা।
খাবারের আয়োজন
সাতক্ষীরা তার কুল, আম, ওল, মাছ এবং সুন্দরবনের খাঁটি মধুর জন্য সুপরিচিত।
এছাড়া স্থানীয়ভাবে বিখ্যাত ‘সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরীর সন্দেশ’ অবশ্যই চেখে দেখতে পারেন। এর স্বাদ আপনার মনে অনেকদিন রয়ে যাবে।
সাতক্ষীরায় আরও দর্শনীয় স্থান
ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির ছাড়াও সাতক্ষীরায় রয়েছে ঘুরে দেখার মতো বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থান। সময় থাকলে ভ্রমণ করতে পারেন:
- সুন্দরবনের অংশবিশেষ
- মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি
- নলতা শরীফ
- দেবহাটার বনবিবির বটগাছ
- মান্দারবাড়ীয়া সমুদ্র সৈকত
- জাহাজমারী এলাকা
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!