মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এক চমৎকার ঐতিহাসিক স্থাপত্য – শ্রীপুর জমিদার বাড়ি। এই জমিদার বাড়িটি একসময় পাল রাজার রাজপ্রাসাদ হিসেবেও পরিচিত ছিল। এই অঞ্চলে জমিদারি ব্যবস্থা চালু করেন সারদারঞ্জন পাল চৌধুরী, যিনি ১৫০০ শতকের দিকে নবাব আলীবর্দী খাঁর কাছ থেকে জমিদারির অধিকার কিনে নেন বলে ইতিহাসে জানা যায়।
স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, জমিদার সারদারঞ্জন পাল চৌধুরীর কন্যা বিভা রানী পাল চৌধুরীর বিয়ে হয়েছিল বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম সদস্য যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের পুত্র উদয়াদিত্যের সঙ্গে। এই বিয়ের সূত্র ধরেই রাজা প্রতাপাদিত্য শ্রীপুর জমিদার বাড়ির নির্মাণে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছিলেন।
বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য যে, বিভা রানী পাল চৌধুরীকে কেন্দ্র করেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘বৌঠাকুরানীর হাট’ রচনা করেন। আজও এই জমিদার বাড়ির সিংহদ্বার ও ধ্বংসাবশেষ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে তোলে।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে মাগুরা যেতে সোহাগ, হানিফ, দ্রুতি ও ঈগল পরিবহণের এসি ও নন-এসি বাস পাওয়া যায়। ভাড়া ৫৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। পদ্মা সেতু হয়ে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায় মাগুরা জেলা শহরে। সেখান থেকে শ্রীপুর উপজেলার দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। স্থানীয় বাস বা সিএনজিতে চড়ে সহজেই শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ডে নামা যায়। এরপর রিকশা বা ইজিবাইকে চড়ে শ্রীপুর-সাচিলাপুর সড়কের পাশেই অবস্থিত জমিদার বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
মাগুরা শহরে থাকার জন্য আবাসন ব্যবস্থা সীমিত হলেও কিছু বিকল্প রয়েছে। রাতে অবস্থানের জন্য হোটেল চলনতিকা ও ছায়া বিথী হতে পারে ভালো পছন্দ। এছাড়া অনুমতির ভিত্তিতে জেলা পরিষদের ডাক বাংলো বা মাগুরা সার্কিট হাউজেও থাকতে পারবেন।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!