অষ্টাদশ শতকের অনন্য স্থাপত্য নিদর্শন গোলকধাম মন্দির পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাংগা ইউনিয়নে অবস্থিত। ১৮৪৬ সালে গোলককৃষ্ণ গোস্বামীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত এই মন্দিরটি দৃষ্টিনন্দন গ্রীক স্থাপত্যশৈলীতে ছয়কোণাকৃতির নকশায় তৈরি। সবুজে ঘেরা উঁচু একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো এই মন্দির প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতীক।
ধর্মীয় গুরুত্ব ও বর্তমান অবস্থা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। মন্দিরের ভেতরে একটি পূজার কক্ষ রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন অনেক ভক্ত পুজো দিতে আসেন। বর্তমানে মন্দিরটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে থাকলেও, সময়ের সাথে এর কিছু অংশ ধ্বংসপ্রায় অবস্থায় রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
- বাসে: ঢাকার গাবতলী, শ্যামলী বা মিরপুর থেকে নাবিল পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, তানযিলা ট্রাভেল, বরকত ট্রাভেল-এর বাসে পঞ্চগড় পৌঁছানো যায়।
- নন-এসি বাস ভাড়া: ১০০০–১১০০ টাকা
- এসি বাস ভাড়া: ১৩০০–১৯০০ টাকা
- ট্রেনে: ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস-এ সরাসরি পঞ্চগড় যেতে পারেন।
- ট্রেনের ভাড়া: ৬৯৫–২৩৯৮ টাকা (শ্রেণীভেদে)
- স্থানীয় যাতায়াত: পঞ্চগড় থেকে লোকাল বাসে দেবীগঞ্জ, সেখান থেকে রিকশা বা ইজিবাইকে প্রায় ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মন্দিরে পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন
পঞ্চগড় শহরে বেশ কিছু ভালো মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে, যেমন:
- হোটেল মৌচাক
- হোটেল রাজ নগর
- হিলটন বোর্ডিং
- হোটেল প্রীতম
- হোটেল এইচ কে প্যালেস
- হোটেল ইসলাম
কোথায় খাবেন
দেবীগঞ্জের বাবুপাড়ায় কয়েকটি স্থানীয় রেস্তোরাঁয় সুস্বাদু দেশীয় খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া পঞ্চগড় শহরে:
- হোটেল করোটিয়া
- হোটেল মৌচাক
- হোটেল নিরিবিলি
- হোটেল হাইওয়ে
- হোটেল হামজা
পঞ্চগড়ের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
গোলকধাম মন্দির ছাড়াও পঞ্চগড় জেলায় আরও কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারেন:
- বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট
- তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন
- চা বাগান
- রকস মিউজিয়াম
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!