তিন বিঘা করিডোর ভারতের মালিকানাধীন একটি ক্ষুদ্র ভূমি, যা বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেখলিগঞ্জ জেলার সীমানার কাছাকাছি অবস্থিত। বাংলাদেশের দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলের যোগাযোগ সুবিধার্থে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিন বিঘা করিডোর ইজারার মাধ্যমে বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হয়।
দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা: বাংলাদেশের বৃহত্তম ছিটমহল
দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ছিটমহল, যার মোট আয়তন প্রায় ১৮.৬১ বর্গ কিলোমিটার। এই এলাকায় প্রায় ১৭ হাজার মানুষের বসবাস। তিন বিঘা করিডোরটি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত, যার দৈর্ঘ্য ১৭৮ মিটার এবং প্রস্থ ৮৫ মিটার। এটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দহগ্রামের সংযোগ স্থাপন করেছে। বর্তমানে এটি একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। করিডোর দিয়ে চলাচলের সময় নির্ধারিত পথ মেনে চলা আবশ্যক।
তিন বিঘা করিডোরে যাওয়ার উপায়
ঢাকা, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলা সদর থেকে সরাসরি বাসযোগে পাটগ্রাম পৌঁছানো যায়। পাটগ্রাম উপজেলা সদর থেকে তিন বিঘা করিডোরের দূরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার। এছাড়া, রংপুর ও লালমনিরহাট থেকে ট্রেনে করেও পাটগ্রাম আসা যায়। প্রতিদিন এই রুটে পাঁচটি ট্রেন চলাচল করে। পাটগ্রাম থেকে রিকশা বা অটোরিকশায় সহজেই তিন বিঘা করিডোরে পৌঁছানো যায়।
রেলপথে আসতে চাইলে:
- লালমনি এক্সপ্রেস: কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯:৪৫ মিনিটে লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
- বুড়িমারী এক্সপ্রেস: মঙ্গলবার ছাড়া বাকি ছয় দিন সকাল ৮:৩০ মিনিটে ছেড়ে যায়।
বাসযোগে আসতে চাইলে:
- গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে হানিফ ও শাহ আলী পরিবহন লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়।
- লালমনিরহাট থেকে ট্রেন বা বাসে পাটগ্রাম এসে, সেখান থেকে রিকশায় তিন বিঘা করিডোরে যাওয়া যায়।
থাকার ব্যবস্থা
দহগ্রামে থাকার জন্য হোটেল সাদিক নামে একটি সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। ভালো মানের আবাসনের জন্য পাটগ্রাম বা লালমনিরহাটে থাকা সুবিধাজনক হবে।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!