শেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান গাজীর দরগা বা শের আলী গাজীর মাজার (Sher Ali Gaji Majar) শেরপুর শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে গাজীর খামারের কাছে অবস্থিত। শের আলী গাজী ছিলেন অষ্টাদশ শতকের শুরুতে শেরপুর পরগনার শেষ মুসলিম জমিদার। ২১ বছরের শাসনকাল শেষে তাঁর নামেই শেরপুর জেলার নামকরণ করা হয়। মৃত্যুর পর তাঁকে খামারের গীদদাপাড়া ফকির বাড়িতে সমাহিত করা হয়, যা আজ শের আলী গাজীর মাজার হিসেবে পরিচিত।
বার্ষিক ওরশ ও মেলা
প্রতি বছর ১ ফাল্গুন এখানে বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে জমজমাট গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়। দেশজুড়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজারো ভক্ত ও মানতকারী এই মাজারে সমবেত হন।
যাতায়াতের উপায়
ঢাকার মহাখালী থেকে শেরপুরের বাস যেমন ড্রিমল্যান্ড, তুরাগ, সাদিকা, শেরপুর রেড লাইন, শেরপুর উইমেন চেম্বার ও আনন্দে যাত্রা করা যায়। জনপ্রতি ভাড়া মানভেদে ৫০০-৬০০ টাকা। শেরপুর শহর থেকে সিএনজি বা অটোরিকশায় সহজেই মাজারে পৌঁছানো যায়।
থাকার ব্যবস্থা
শেরপুর শহরে থাকার জন্য বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে হোটেল সম্পদ, হোটেল শাহ্জালাল, হোটেল আরাফাত, হোটেল অবকাশ, হোটেল আইসার ইন, কাকলি গেস্ট হাউজ, বর্ণালী গেস্ট হাউজ এবং হাসেম গেস্ট হাউজ উল্লেখযোগ্য।
খাওয়া-দাওয়া
শেরপুরের নিউ মার্কেট এলাকায় বিভিন্ন মানসম্মত রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেখানে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।
শেরপুরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
শেরপুর ভ্রমণের সময় আরও কিছু স্থান দেখা যেতে পারে। এর মধ্যে মাইসাহেবা জামে মসজিদ, রাজার পাহাড়, পৌনে তিন আনি জমিদার বাড়ি, পানিহাটা-তারানি পাহাড় এবং মধুটিলা ইকোপার্ক ও গজনী অবকাশ কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!