ঢাকা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীর পাড়ে অবস্থিত ষোলআনী প্রজেক্ট, যা বর্তমানে ষোলআনী সৈকত নামে পরিচিত। এটি আগে দৌলতপুর নামে পরিচিত ছিল। মেঘনা নদীর পাড়ে সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণের ফলে এর সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায়। প্রকৃতির এ মনোরম পরিবেশ প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ঢাকা থেকে অল্প দূরত্ব হওয়ায় বাইকারদের কাছেও এটি বেশ জনপ্রিয় স্থান।
ষোলআনী সৈকতের সৌন্দর্য
প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতে মেঘনার জলে নৌযানের বিচরণ, অসীম নীল আকাশে সাদা মেঘের খেলা, অপরূপ সূর্যাস্তের দৃশ্য এবং পূর্ণিমার জোছনার মোহনীয় রূপ উপভোগ করা যায়। এখানে নৌকা ভাড়া করে মেঘনার বুকে ভেসে বেড়ানোর সুযোগও রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
ষোলআনী সৈকতে যেতে হলে ঢাকার গুলিস্তান থেকে গজারিয়া পরিবহন, দাউদকান্দি বা গৌরিপুরগামী বিআরটিসি বাসে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড আসতে হবে। ভবেরচর থেকে সিএনজিতে রসুলপুর, সেখান থেকে অন্য সিএনজিতে ষোলআনী স্ট্যান্ড পৌঁছে পায়ে হেঁটে সৈকতে যাওয়া যায়।
বিকল্পভাবে, ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে সরাসরি ষোলআনী সৈকতে পৌঁছানো যায়।
ভাড়ার বিস্তারিত:
- গুলিস্তান থেকে ভবেরচর পর্যন্ত গজারিয়া পরিবহনের ভাড়া: ৭০ টাকা (জনপ্রতি)
- বিআরটিসি এসি বাসের ভাড়া: ১১০ টাকা (জনপ্রতি)
- ভবেরচর থেকে রসুলপুর পর্যন্ত লোকাল সিএনজি ভাড়া: ২০ টাকা (জনপ্রতি)
- রসুলপুর থেকে ষোলআনী পর্যন্ত লোকাল সিএনজি ভাড়া: ২০ টাকা (জনপ্রতি)
- ভবেরচর থেকে ষোলআনী সৈকত পর্যন্ত সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া: ২০০ টাকা
খাবার ও থাকার ব্যবস্থা
খাবার:
স্থানীয় রেস্তোরাঁয় দেশীয় মাছ এবং নানা পদের ভর্তা উপভোগ করতে পারবেন।
থাকার ব্যবস্থা:
ঢাকা থেকে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায়, তাই থাকার প্রয়োজন হয় না।
ষোলআনী সৈকত প্রকৃতি আর নদীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য। অল্প খরচে এবং স্বল্প সময়ে ঢাকার কাছেই একদিনের ভ্রমণের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার জায়গা।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!