চট্টগ্রামের বারৈয়াঢালা অভয়ারণ্যের অংশ মীরসরাইয়ের হাদি ফকিরহাট বাজার সংলগ্ন সোনাইছড়ি ট্রেইল (Sonaichhari Trail) দিনভর ভ্রমণের জন্য একটি আদর্শ স্থান। চট্টগ্রামের সবচেয়ে সুন্দর সোনাইছড়ি ট্রেইল তার বৈচিত্র্যময় বুনো পাথুরে সৌন্দর্য দিয়ে অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের অদ্ভুত মায়ায় আকর্ষণ করে।
পিচ্ছিল ঝিরিপথ, খাড়া পাহাড় ও বাদুইজ্জাখুম পার হয়ে যাওয়ার সময় যে রোমাঞ্চকর অনুভূতি সৃষ্টি হয়, তা এক জীবনভর স্মৃতিতে পরিণত হয়। বাদুইজ্জাকুমের দুই পাশের ১০০-১৫০ ফুট উঁচু পাথুরে দেয়ালের অন্ধকারে হাজার হাজার বাঁদুরের ডানা ঝাপটানোর শব্দ ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি করে। আর ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেইলের শেষ প্রান্তে পৌঁছালে অপূর্ব সোনাইছড়ি ঝর্ণা সমস্ত ক্লান্তি মুহূর্তেই দূর করে দেয়। তবে এই ট্রেকিং ট্রেইলে যেতে হলে দলবদ্ধভাবে যাওয়াই ভালো এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে সুবিধা হবে। বর্ষাকালে ফ্লাশ ফ্লাডের সম্ভাবনা থাকে, তাই এ সময়ে যেতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী এস আলম, শ্যামলী, সৌদিয়া, ইউনিক, হানিফ, ঈগল, এনা, সোহাগ প্রভৃতি বাসে হাদি ফকিরহাট বাজারে পৌঁছাতে পারবেন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হাদি ফকিরহাট বাজার পর্যন্ত বাস ভাড়া জনপ্রতি ৪৬০ থেকে ১২০০ টাকা। এরপর হাদি ফকিরহাট জামে মসজিদের কাছ থেকে পায়ে হেঁটে বা সিএনজি নিয়ে ট্রেইল শুরুর স্থান, বড় পাথর পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। বড় পাথর থেকে সোনাইছড়ি ট্রেইলের শেষ প্রান্তে পৌঁছাতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে।
কোথায় থাকবেন
একদিনের ভ্রমণে সাধারণত রাত্রী যাপন প্রয়োজন হয় না। তবে রাতে থাকার জন্য মীরসরাই ও সীতাকুন্ডে কিছু সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। সীতাকুণ্ড বাজারে অবস্থিত হোটেল সৌদিয়া, সাইমুন হোটেল অন্যতম। আরও ভালো থাকার জন্য চট্টগ্রাম শহরে অলংকার মোড়, স্টেশন রোড, নিউমার্কেট এবং জিইসি মোড়ে বিভিন্ন মানের হোটেল পাওয়া যাবে।
ট্রেকিংয়ের জন্য যে সকল জিনিস সঙ্গে রাখবেন
ব্যাকপ্যাকে রাখার প্রয়োজনীয় জিনিসসমূহ হলো: শুকনা খাবার, অতিরিক্ত পোষাক, ক্যাপ, গামছা, ভালো গ্রিপের জুতা, হাফ প্যান্ট বা থ্রী কোয়ার্টার, পানির বোতল, ফার্স্ট এইড কিট এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!