বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প মুহুরী প্রজেক্ট ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় অবস্থিত। এটি শুধু সেচ প্রকল্প নয়, দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বৃহত্তম মৎস্য অঞ্চল হিসেবেও সুপরিচিত। ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়, তবে ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরে ফেনী, মুহুরী ও কালিদাস পাহালিয়া নদীর পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্মিত আড়ি বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়। এর ফলে ২০,১৯৪ হেক্টর এলাকা সরাসরি সেচ সুবিধার আওতায় আসে।
পর্যটন ও বিনোদন
গত ২৫ বছরে মুহুরী প্রজেক্টের আশেপাশে পিকনিক স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এখানে ছুটে আসেন।
অবস্থান
ফেনী জেলা সদর থেকে সোনাগাজী উপজেলায় পৌঁছাতে প্রায় ১৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এরপর সোনাগাজী উপজেলা থেকে মুহুরী প্রজেক্টের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। প্রকল্পটির একটি অংশ চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সীমানার মধ্যে পড়েছে।
কিভাবে যাবেন
ফেনীর লালপোল থেকে মিল্লাত, ফারাবি ট্রান্সপোর্ট, জয় বা প্রতিশ্রুতি পরিবহনের বাসে সোনাগাজী উপজেলা সদরে পৌঁছাতে পারেন। সেখান থেকে সিএনজি বা রিকশা নিয়ে মুহুরী প্রজেক্টে যেতে পারবেন। এছাড়া সোনাগাজী উপজেলা সদর থেকে বাসে বাদামতলী এসে সেখান থেকে রিকশায়ও যেতে পারেন।
থাকার ব্যবস্থা
মুহুরী প্রজেক্টের কাছেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাক বাংলো রয়েছে। এছাড়া ২০ কিলোমিটার দূরে সোনাগাজীতে জেলা পরিষদের ডাক বাংলো এবং নাসির রেস্টুরেন্ট এন্ড আবাসিক হোটেল (ফোন: 01830-167696) এ থাকতে পারেন। ফেনী শহরে থাকতে চাইলে হোটেল মিড নাইট (0331-62223, 01733-585956) বা হোটেল গাজী ইন্টারন্যাশনাল (0331-62415, 01711-123545, 01714-267305) এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই মুহুরী প্রজেক্ট প্রকৃতি ও প্রযুক্তির অপূর্ব সমন্বয়। সেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, মৎস্যচাষ এবং পর্যটন — সবকিছু মিলিয়ে এটি ফেনী জেলার গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!