চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মুঘল তোহাখানা (Mughal Tahakhana) বা তোহাখানা কমপ্লেক্স। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফার্সি শব্দ "তোহাখানা" অর্থ ঠান্ডা ভবন বা প্রাসাদ। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের পুত্র সুলতান শাহ সুজা তাঁর মুর্শিদ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহর শীতকালীন বসবাসের সুবিধার্থে ফিরোজপুরে তাপনিয়ন্ত্রিত এই তিনতলা বিশিষ্ট প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্র মতে, ১৬৩৯ থেকে ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে এই স্থাপনাটি তৈরি করা হয়।
তোহাখানা কমপ্লেক্সের স্থাপত্য ও বৈশিষ্ট্য
শাহ সুজা অবকাশ যাপনের জন্য তোহাখানায় এলে ইমারতের মাঝামাঝি একটি প্রশস্ত কক্ষে থাকতেন। কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে বেশকিছু অজ্ঞাত সমাধি রয়েছে, যা হযরত শাহ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহর খাদেম বা সহচরদের বলে ধারণা করা হয়। তোহাখানা কমপ্লেক্সের মূল আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ
- একটি কূপ
- এক গম্বুজবিশিষ্ট সমাধি
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে শিবগঞ্জগামী সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। হানিফ, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, দেশ পরিবহন এবং শ্যামলী পরিবহনের বাসে চড়ে শিবগঞ্জ পৌঁছাতে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। জনপ্রতি বাস ভাড়া ৮৯০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
এছাড়া, ঢাকার কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, গ্রামীণ ট্রাভেলস এবং তুহিন এলিটের এসি ও নন-এসি বাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌঁছে সেখান থেকে মাহেন্দ্র বা সিএনজি রিকশায় করে তোহাখানায় যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে সাধারণ মানের আবাসিক হোটেলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হল:
- হোটেল রোজ
- হোটেল আল নাহিদ
- হোটেল স্বপ্নপুরী
- নবাবগঞ্জ বোডিং
- হোটেল রংধনু
তবে উন্নত মানের থাকার ব্যবস্থা চাইলে রাজশাহী শহরে যাওয়া ভালো। রাজশাহীতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ছাড়াও হোটেল হক্স ইন, নাইস ইন্টারন্যাশনাল, মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল, ডালাস ইন্টারন্যাশনাল এবং শুকরান হোটেলে রাতযাপন করা যেতে পারে।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!