জমিদার যদুনাথ সাহা আনুমানিক ১৯০০ সালের দিকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামে ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি (ভাগ্যকুল প্যালেস) নির্মাণ করেন। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন এবং বরিশাল থেকে লবণ, সুপারি, শাড়ি ইত্যাদি পণ্য আমদানি করে মুর্শিদাবাদে রপ্তানি করতেন। মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ির সাথে এই দুই তলা বাড়িটির স্থাপত্যে মিল পাওয়া যায়। ভবনের সামনে ৮টি থাম রয়েছে, যা গ্রীক স্থাপত্যশৈলীর বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। বাড়িটির ভেতরের দেয়ালে ময়ূর, সাপ এবং বিভিন্ন ফুল-পাখির নকশা অঙ্কিত রয়েছে।
ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ির দরজা ও জানালাগুলো একই আকারের, ফলে বদ্ধ অবস্থায় এগুলো চিহ্নিত করা বেশ কঠিন। মূল ভবনের চারদিকে ঘিরে এই বাড়ি নির্মিত হয়েছে এবং মাঝখানে একটি উঠোন রয়েছে। একতলা থেকে দোতলায় ওঠার জন্য একটি কাঠের সিঁড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। যদুনাথ সাহা তাঁর ৫ ছেলেমেয়ের জন্য আলাদা আলাদা বাড়ি নির্মাণ করেন। এই বাড়িগুলো স্থানীয়দের কাছে কোকিলপেয়ারি জমিদার বাড়ি, উকিল বাড়ি, জজ বাড়ি এবং ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত। প্রতিটি বাড়ির মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৪০ থেকে ৫০ গজ। তবে বান্দুরায় অবস্থিত ভাগ্যকুল জমিদার বাড়িটি এখনো তুলনামূলক ভালো অবস্থায় রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে নবাবগঞ্জ হয়ে বান্দুরা যাত্রাপথের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। গুলিস্তান থেকে ঢাকা-দোহার রুটের গরিবে নেওয়াজ, মহানগর, আরাম বা সেবা পরিবহনের বাসে বালাসুর বাজারে এসে সেখান থেকে রিকশায় ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন
সাধারণত ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ গিয়ে দিনে ফিরে আসা যায়। তবে প্রয়োজনে রাতযাপনের দরকার হলে শ্রীনগর উপজেলায় থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!