প্রাচীন বাংলার গৌরবোজ্জ্বল স্থান শ্রীবিক্রমপুর মহানগরের একটি অংশ, বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলা, যা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গৌরবে সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। জেলা জুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য প্রাচীন নিদর্শন, যা গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের পানাম পোলঘাটা গ্রামে অবস্থিত মোগল আমলের পোলঘাটা সেতু (Polghata Bridge) একটি অসাধারণ পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন। মুন্সিগঞ্জ জেলা শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সেতু, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সাথে জেলা সদরের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আজও ব্যবহৃত হচ্ছে।
শ্রীবিক্রমপুর মহানগরের সীমানা পরিখা মির কাদিম খালের উপর অবস্থিত এই সেতুটি স্থানীয়ভাবে মীরকাদিম সেতু হিসেবেও পরিচিত। ৫২.৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের ধুনকাকৃতি/অর্ধবৃত্তাকার সেতুর নিচে তিনটি খিলান রয়েছে, যেগুলি নৌযান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়। সেতুর দুই পাশে নৌযান চলাচলের পথ মাঝখানের খালি জায়গার তুলনায় কিছুটা সংকীর্ণ। পোলঘাটা সেতুটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রক্ষা করা হচ্ছে।
যেভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ জেলার দূরত্ব মাত্র ২৬ কিলোমিটার। ঢাকার গুলিস্তান থেকে বিভিন্ন পরিবহণের বাসে মুন্সিগঞ্জ যাওয়া যায়। মুন্সিগঞ্জ জেলা সদর থেকে অটোরিকশা বা সিএনজি নিয়ে পোলঘাটা সেতু যাওয়া সম্ভব।
কোথায় থাকবেন
ঢাকার কাছে অবস্থিত হওয়ায়, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা সম্ভব। তবে, প্রয়োজনে মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরে হোটেল থ্রি স্টার, হোটেল কমফোর্টের মতো সাধারণ মানের হোটেল এবং জেলা পরিষদের ডাক বাংলো ও সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করা যেতে পারে। মুন্সিগঞ্জ জেলার বিলাসবহুল রিসোর্টগুলির মধ্যে পদ্মা, মাওয়া, এবং মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য।
কোথায় খাবেন
মুন্সিগঞ্জ শহরে রিভার ভিউ, মারিয়া ফুড ক্যাফে, এবং মুন্সির ঘরোয়া হোটেলগুলোতে ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জেলার জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে চিত্তর দই, আনন্দর মিষ্টি, খুদের বৌউয়া (খুদের খিচুরি), এবং ভাগ্যকুলের মিষ্টি বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
মুন্সিগঞ্জের দর্শনীয় স্থান
মুন্সিগঞ্জের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে জগদীশ চন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর, ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ী, আড়িয়াল বিল, এবং মাওয়া ফেরি ঘাট অন্যতম।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!