ভাটিয়ারী লেক চট্টগ্রাম সিটি গেট থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। পাহাড়ের পাদদেশে সঞ্চিত পানি থেকে গঠিত এই লেকটি তার রূপ বৈচিত্র্যে ভরপুর। স্বচ্ছ পানি, সেনাবাহিনী পরিচালিত গলফ কোর্স এবং ভাটিয়ারী সানসেট পয়েন্টে সূর্যাস্তের দৃশ্য মনকে এক অপূর্ব মূর্ছনায় ভরিয়ে তোলে। লেকটি দেখতে অনেকটা সাপের মতো এঁকে বেঁকে চলেছে এবং সূর্যের সোনালী আলো তার জলে প্রতিফলিত হয়ে চকচক করে।
বর্ষাকালে লেকটি তার পূর্ণ সৌন্দর্য ফিরে পায়, এবং এই সময়ে লেকের অপরূপ দৃশ্য আরও বাড়ে। এখানে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে নৌকায় চড়া ও মাছ ধরার ব্যবস্থা রয়েছে। সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত হওয়ায়, এখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে গেলে নিরাপত্তার কোনো চিন্তা নেই।
ভাটিয়ারী যাওয়ার উপায়
চট্টগ্রাম শহরের যেকোনো স্থান থেকে সিএনজি অটোরিকশা অথবা চট্টগ্রাম সিটি গেট এলাকা থেকে বাসে চড়ে ভাটিয়ারী যাওয়া সম্ভব।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাত্রা
ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও আকাশপথে চট্টগ্রাম যাওয়া যায়। সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন বাস যেমন সৌদিয়া, গ্রিন লাইন, ইউনিক, হানিফ, শ্যামলী, সোহাগ, এস আলম ইত্যাদি বাসে চট্টগ্রাম যেতে পারবেন। বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। ট্রেনেও চট্টগ্রাম যাওয়া যায়, কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ইত্যাদি ট্রেনে চড়তে পারবেন। ট্রেনের টিকিটের মূল্য ৪০৫-১৩৯৮ টাকা। এছাড়া ঢাকা থেকে বেশকিছু এয়ারলাইন্সও সরাসরি চট্টগ্রাম ফ্লাইট পরিচালনা করে।
কোথায় থাকবেন
চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। যেমন হোটেল প্যারামাউন্টের রুম ভাড়া ৮০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা, হোটেল অবকাশের রুম ভাড়া ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা, হোটেল লর্ডস ইন এর রুম ভাড়া ২০০০ থেকে ৭০০০ টাকা, হোটেল এশিয়ান এসআর এর রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা, হোটেল ল্যান্ডমার্কে রুম ভাড়া ২৫০০ টাকা এবং হোটেল রেডিসন ব্লু-তে রুম ভাড়া ১৮০০০ টাকা।
কোথায় খাবেন
ভাটিয়ারীতে ক্যাফে রয়েছে, যেখানে বসে আপনি খাওয়া দাওয়া করতে করতে চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে শহরের হোটেল জামান অথবা চকবাজারে অবস্থিত “মেজবান হাইলে আইয়্যুন” রেস্তোরানে যেতে পারেন। চট্টগ্রামের অন্যান্য রেস্টুরেন্ট যেমন বারকোড ক্যাফে, ক্যাফে ৮৮, সেভেন ডেইজ, ধাবা, হান্ডি, গলফ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, কোস্টাল মারমেইড রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জও উল্লেখযোগ্য।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!