বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের কেন্দ্রে অবস্থিত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও গবেষণার কেন্দ্র চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা (Chittagong Zoo)। ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, পাহাড়তলী ইউএসটিসি মেডিকেল কলেজের পাশের ৬ একর জায়গায় বানর, সিংহ, হরিণ এবং হনুমানসহ ১৬টি প্রাণী নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা যাত্রা শুরু করে।
বর্তমানে, এই চিড়িয়াখানায় স্তন্যপায়ী, পাখি এবং সরীসৃপসহ ৭২ প্রজাতির তিন শতাধিক প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়া হরিণ, এশীয় কালো ভালুক, ভারতীয় সিংহ, আফ্রিকান জেব্রা, চিত্রা হরিণ, সাম্বার হরিণ, মুখপোড়া হনুমান, প্যারা হরিণ, উল্লুক, রেসাস বানর, উল্টো লেজি বানর, চিতা বিড়াল, তিতির, ময়ূর, রাজ ধনেশ, মদনটাক, তিলাঘুঘু, ভুবন চিল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
প্রবেশ মূল্য ও সময়সূচী
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য জনপ্রতি ৭০ টাকা দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়। চিড়িয়াখানাটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা যাওয়ার উপায়
চট্টগ্রাম শহরের যেকোনো স্থান থেকে সিএনজি বা রিকশায় চড়ে ফয়েজ লেকের বিপরীত পাশে অবস্থিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছানো সম্ভব।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম
ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও আকাশপথে চট্টগ্রাম যাওয়া যায়। ঢাকা সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন পরিবহন যেমন সৌদিয়া, ইউনিক, টি আর ট্রাভেলস, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী, সোহাগ, এস. আলম, মডার্ন লাইন ইত্যাদি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বাসের সীটের ভাড়া শ্রেণীভেদে ৬৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম যেতে চাইলে, কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনগুলোতে যাত্রা করা যায়। ট্রেনের আসনভেদে ভাড়া ৪০৫-১৩৯৮ টাকা হতে পারে। এছাড়া, ঢাকা থেকে বেশ কিছু এয়ারলাইন্স সরাসরি চট্টগ্রামগামী ফ্লাইট পরিচালনা করে।
কোথায় থাকবেন
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বিপরীত পাশে ফয়েজ লেকে রাত্রিযাপনের জন্য বিলাসবহুল রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। ফয়েজ লেকে প্রতিরাতে রুম ভাড়া ৪০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এছাড়া, চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল থেকে আপনার বাজেট অনুযায়ী হোটেল পেতে কোনও সমস্যা হবে না।
কোথায় খাবেন
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে হোটেল জামান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। মেজবানি খাবারের জন্য চকবাজারে অবস্থিত ‘মেজবান হাইলে আইয়্যুন’ রেস্তোরাটি খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া, চট্টগ্রাম শহরে অনেক ভাল মানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেমন: বারকোড ক্যাফে, মিলেঞ্জ রেস্টুরেন্ট, গ্রিডি গাটস, ক্যাফে ৮৮, সেভেন ডেইজ, ধাবা, হান্ডির নাম, গলফ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, কোষ্টাল মারমেইড রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জ, বোনানজা পোর্ট রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!