গাবখান সেতু

বাংলাদেশের সুয়েজ খাল নামে পরিচিত গাবখান চ্যানেলের উপর নির্মিত ৫ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি গাবখান সেতু নামে পরিচিত। সন্ধ্যা ও সুগন্ধা নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এই কৃত্রিম নৌপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার। সবুজে ঘেরা এই খালটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বাংলাদেশে অনন্য।

প্রায় ২০০ বছরের পুরনো গাবখান চ্যানেলের নৌপথের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি আপনি শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমারের ফ্রন্ট ডেকে বসে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। গাবখান সেতুটি দেশের সর্বোচ্চ উঁচু সেতু হিসেবে স্বীকৃত এবং এর নির্মাণশৈলী এটিকে অন্যান্য সেতু থেকে আলাদা করেছে।

কিভাবে যাবেন

গাবখান সেতু দেখতে চাইলে প্রথমে ঝালকাঠি জেলায় আসতে হবে। ঝালকাঠি জেলার ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে অটোরিক্সা ভাড়া নিয়ে মাত্র ১০-১৫ মিনিটে গাবখান সেতু পৌঁছানো যায়। এছাড়া পিরোজপুরগামী বাসে চড়েও গাবখান সেতুতে যাওয়া সম্ভব।

ঢাকা থেকে ঝালকাঠি যাওয়ার জন্য হানিফ, সাকুরা, সার্বিক, সোনার তরী ও সুরভী পরিবহণের এসি ও নন-এসি বাস চলাচল করে। টিকেটের মূল্য ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত।

গাবখান চ্যানেলে বর্তমানে ৪টি প্যাডেল স্টিমার চলাচল করে। লেপচা, মাহসুদ, অস্ট্রিচ ও টার্ন স্টিমার শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার সদরঘাট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে মোড়েলগঞ্জ যাওয়ার জন্য ডেকের ভাড়া ২৮০ টাকা, নন-এসি ডাবল কেবিনের ভাড়া ২১০০ টাকা এবং এসি ডাবল কেবিনের ভাড়া ৩৭১৫ টাকা।

কোথায় থাকবেন

ঝালকাঠি জেলা শহরে বেশ কয়েকটি মোটামুটি মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। কালীবাড়ি রোডে অবস্থিত ধানসিঁড়ি রেস্ট হাউজ বা ডালিয়ান থাই চাইনিজ হোটেলে থাকতে হলে ২৫০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হতে পারে।

কোথায় খাবেন

ঝালকাঠি ঘুরতে এলে কালীবাড়ি রোডের সকাল-সন্ধ্যা সুইটসের লুচি-ভাজি এবং ঘোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মিষ্টি ও রসমালাই খেয়ে দেখতে পারেন।

গাবখান সেতু এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
132.18 কিমি
ঝালকাঠি থেকে
1.98 কিমি
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি
সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি
ভাসমান পেয়ারা বাজার
সুজাবাদ কেল্লা
নয় গম্বুজ মসজিদ
গুটিয়া মসজিদ
দুর্গাসাগর দিঘী
শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘর
অক্সফোর্ড মিশন
রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ি
বঙ্গবন্ধু উদ্যান বেলস পার্ক
পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
বিবির পুকুর
ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক
ডিসি পার্ক, পিরোজপুর
শাপলা গ্রাম, সাতলা
আলীপুর মাছ বাজার
মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ
হরিণপালা রিভার ভিউ ইকোপার্ক

মন্তব্য

এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন