ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে কুমার নদীর তীরে পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের বসতবাড়ি অবস্থিত। কবির বাড়িতে রয়েছে পুরনো চারটি টিনের ঘর, যেখানে তার ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র সংরক্ষিত রয়েছে। বাড়ির আঙিনায় কবির লেখা বিভিন্ন রচনা প্রদর্শন করা হয়েছে। নদীর ধারে বিস্তৃত জায়গায় দর্শনার্থীদের জন্য বসার স্থান রয়েছে। বাড়ির উত্তরে রাস্তার পাশে কবির কবরস্থান। ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ পল্লী কবি জসীমউদ্দীন ডালিম গাছের নিচে চিরশায়িত হন। তার বাবা, মা, স্ত্রী, বড় ছেলে, বড় ছেলের স্ত্রী এবং ভাই, বোন, ভাগিনা ও নাতনিদের কবরও তার পাশে অবস্থিত।
জন্ম ও জীবন
পল্লী কবি জসীমউদ্দীন ১৯০৩ সালে ফরিদপুর সদর উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামে তার নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও তিনি বাংলার পল্লী প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনকে তার সাহিত্যিক কাজের মূল উপজীব্য করেন। বাংলার পল্লী অঞ্চলে কৃষিকেন্দ্রিক জীবনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক থাকার কারণে তার কবিতায় পল্লী প্রকৃতি ও জীবনের চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
যাতায়াত ব্যবস্থা
ঢাকা থেকে ফরিদপুরে বাস বা ট্রেনযোগে যাওয়া যায়।
- বাসে যাতায়াত: গাবতলি বাস স্ট্যান্ড থেকে কমফোর্ট লাইন, রয়েল পরিবহন, সূর্যমুখী পরিবহন, গোল্ডেন লাইন, আনন্দ পরিবহন, সাউথ লাইন, আজমেরি এন্টারপ্রাইজসহ বিভিন্ন বাস ফরিদপুর রুটে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করে। ভাড়া মানভেদে ৪০০-৫০০ টাকা।
- ট্রেনে যাতায়াত: ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ফরিদপুর যাওয়া যায়। আসনভেদে ট্রেন ভাড়া ৩০৫ থেকে ৬৯৬ টাকা। ফরিদপুর শহরে পৌঁছে স্থানীয় যানবাহনে করে কবির বাড়ি যাওয়া যাবে।
থাকার ব্যবস্থা
ফরিদপুর শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে।
- উচ্চ বাজেটের জন্য: জনতার মোড়ে অবস্থিত হোটেল র্যাফেলস।
- কম বাজেটের জন্য: মুজিব সড়কের জে.কে. ইন্টারন্যাশনাল, পদ্মা হোটেল, হোটেল ঝিলভিউ।
অন্য দর্শনীয় স্থান
ফরিদপুর জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলো হলো:
- নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট
- হযরত শাহ ফরিদ মসজিদ
- জগদ্বন্ধু সুন্দর আশ্রম
- আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল
- বাইশ রশি জমিদার বাড়ি
- সদরপুর সাতৈর মসজিদ
- মথুরাপুরের দেউল
- পাতরাইল মসজিদ
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!