ফেনী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ঐতিহাসিক রাজাঝির দীঘি (Rajajhir Dhigi), যা স্থানীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জনশ্রুতি অনুযায়ী, প্রায় সাতশত বছর আগে ত্রিপুরা রাজ্যের এক রাজা তার অন্ধ কন্যার চোখের আলো ফিরিয়ে আনার আশায় এই বিশাল দীঘিটি খনন করেন। ফেনী অঞ্চলে মেয়েদের "ঝি" বলে ডাকা হয়, তাই দীঘিটির নামকরণ হয় রাজাঝির দীঘি বা রাজনন্দিনীর দীঘি।
দীঘির আয়তন ও আশেপাশের স্থাপনা
রাজাঝির দীঘির মোট আয়তন ১০.৩২ একর। ১৮৭৫ সালে ফেনী মহকুমা প্রতিষ্ঠার পর, দীঘির পাড়েই মহকুমার সদর দপ্তর গড়ে ওঠে। বর্তমানে দীঘির চারপাশে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে, যেমন:
- ফেনী কোর্ট মসজিদ
- ফেনী সদর থানা
- অফিসার্স ক্লাব
- ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন
- শিশু পার্ক
দীঘির চারদিকে নির্মাণ করা হয়েছে সুন্দর ওয়াকওয়ে, বসার স্থান এবং পাকা ঘাট, যা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য আকর্ষণীয় পরিবেশ তৈরি করে।
যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে মহিপাল বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে পারেন। সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিতে সহজেই রাজাঝির দীঘি পৌঁছানো যায়। এছাড়া, ট্রেনে ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে নেমে একইভাবে দীঘিতে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
ফেনী শহরে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে:
- বেস্ট ইন হোটেল
- হোটেল মিড নাইট
- হোটেল গাজী ইন্টারন্যাশনাল
এছাড়া, অনুমতি সাপেক্ষে ফেনী সার্কিট হাউস, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, এলজিইডি রেস্ট হাউস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউস এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রেস্ট হাউস-এও রাত্রিযাপন করতে পারবেন।
শেষ কথা
প্রাচীন ইতিহাস, মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় রাজাঝির দীঘি ফেনীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ইতিহাসপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি হতে পারে এক অনন্য গন্তব্য।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!