রুদ্রকর মঠ

শরীয়তপুর জেলার একটি বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হলো রুদ্রকর মঠ। এটি শরীয়তপুর জেলার একমাত্র মঠ এবং মূলত একটি মন্দির। ধারণা করা হয় যে নবাব আলীবর্দী খানের আমলে, অর্থাৎ ১৩০৫ থেকে ১৩১৫ বঙ্গাব্দের মধ্যে, তৎকালীন জমিদার বাবু গুরুচরণ চক্রবর্তী তাঁর মা রাশমণি দেবীর স্মৃতিকে চিরকাল ধরে রাখার জন্য এই মন্দির নির্মাণ করেন। ১৮৯৮ সালে এটি পূণর্নির্মাণ করা হয় এবং বর্তমানে মঠটি অনুপম স্থাপত্যশৈলীর একটি উদাহরণ।

মঠের বৈশিষ্ট্য

রুদ্রকর মঠে রয়েছে একটি বৃহৎ শ্মশান মন্দির। মূল উপাসনালয় কক্ষের সাথে সংযুক্ত বারান্দার চার কোণে চারটি ছোট মন্দির অবস্থিত। মূল মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ২০ মিটার এবং চারটি ছোট মন্দিরের উচ্চতা ১.৯৫ মিটার। মঠের গায়ে ৪টি দেবী মূর্তির অলঙ্করণ রয়েছে যা মন্দিরের স্থাপত্যশৈলীকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।

মঠের সামনে একটি প্রাচীন পুকুর রয়েছে, যা মঠের সঙ্গে একই সময়ে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়। প্রতিবছর এখানে বিশেষ উৎসব, পূজা এবং কীর্তনের আয়োজন করা হয়।

কীভাবে যাবেন

ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্লোরি এক্সপ্রেস, শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ এবং সাগরিকা পরিবহনের বাস পদ্মা সেতু হয়ে সরাসরি শরীয়তপুরে যায়। বাস ভাড়া যাত্রীসেবার মান অনুযায়ী ৪০০-৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

শরীয়তপুর জেলা শহর থেকে রুদ্রকর মঠের দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার। ডামুড্যা-শরীয়তপুর মহাসড়কের পাশে রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের উত্তরে রুদ্রকর জমিদার বাড়ি অবস্থিত। স্থানীয় লোকজন জমিদার বাড়িটিকে "বাবু বাড়ি" বলেও চিনে। জমিদার বাড়ির পাশেই বিশালাকার পুকুরের পাড়ে রুদ্রকর মঠটি দেখতে পাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

শরীয়তপুর জেলায় মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা তেমন গড়ে ওঠেনি। তবে উল্লেখযোগ্য আবাসিক হোটেলের মধ্যে রয়েছে:

  • নুর হোটেল
  • চন্দ্রদাস রেস্ট হাউজ
  • হোটেল শের আলী

কোথায় খাবেন

জেলা শহরে বিভিন্ন মানের চাইনিজ এবং বাংলা খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিছু রেস্টুরেন্ট হলো:

  • উৎসব চাইনিজ রেস্টুরেন্ট
  • হোটেল জনতা
  • চিকন্দি ফুড পার্ক
  • চিলেকোঠা ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট
রুদ্রকর মঠ এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
70.07 কিমি
শরীয়তপুর থেকে
4.12 কিমি
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
ধানুকা মনসা বাড়ি
বুড়ির হাট জামে মসজিদ
মহিষারের দিগম্বরী দীঘি
মর্ডান ফ্যান্টাসি কিংডম
সুরেশ্বর দরবার শরীফ
বড় স্টেশন
পাতরাইল মসজিদ
মাওয়া ফেরি ঘাট
অঙ্গীকার ভাস্কর্য
মাওয়া রিসোর্ট
ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি
লোহাগড়া মঠ
পদ্মা রিসোর্ট
সোনারং জোড়া মঠ
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিক বাড়ী
অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান
শাপলা গ্রাম, সাতলা
পোলঘাটা সেতু
আড়িয়াল বিল
বাবা আদম মসজিদ

মন্তব্য

এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন