বাহাদুর শাহ পার্ক

পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত বাহাদুর শাহ পার্ক (Bahadur Shah Park) একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। ১৮৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, নবাব স্যার সলিমুল্লাহর পুত্র খাজা হাফিজুল্লাহর স্মরণে এই পার্কে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়, যা বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত।

ডিম্বাকৃতির এই পার্কটি ঘিরে সাতটি রাস্তা মিলিত হয়েছে। গাছগাছালিতে ঘেরা শান্ত পরিবেশে অবস্থিত বাহাদুর শাহ পার্কে রয়েছে খাজা হাফিজুল্লাহর স্মৃতিস্তম্ভ এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্মিত একটি সুদর্শন ফোয়ারা। ১৯৫৭ সালে নবাব খান বাহাদুর পার্কটির নাম পরিবর্তন করে "বাহাদুর শাহ পার্ক" রাখা হয়, যা মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। এই পার্কটি ঢাকার ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইতিহাস

আঠারো শতকের শেষভাগে বাহাদুর শাহ পার্কের বর্তমান স্থানে আর্মেনীয়দের একটি বিলিয়ার্ড ক্লাব ছিল। স্থানীয়রা বিলিয়ার্ড বলকে "আন্টা" বলে ডাকত, তাই ক্লাবঘর এবং এর সংলগ্ন মাঠ "আন্টাঘর" ও "আন্টা ময়দান" নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে, ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পর ইংরেজ শাসকরা জনগণের মনে ভয় সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিদ্রোহী সিপাহিদের লাশ এনে আন্টা ময়দানের গাছগুলোর ডালে ঝুলিয়ে রাখে।

১৮৫৮ সালে রানী ভিক্টোরিয়া ভারতবর্ষের শাসনভার গ্রহণের ঘোষণাপত্র আন্টা ময়দানে পাঠ করা হলে এই স্থানটি "ভিক্টোরিয়া পার্ক" নামে নতুনভাবে পরিচিতি লাভ করে। পরে ১৯৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের শতবার্ষিকী উপলক্ষে এই পার্কে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয় এবং এর নাম পরিবর্তন করে "বাহাদুর শাহ পার্ক" রাখা হয়।

বাহাদুর শাহ পার্কের সময়সূচী

বাহাদুর শাহ পার্ক সপ্তাহের সাত দিনই খোলা থাকে। এটি সকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে যেকোনো সময় প্রবেশ করা যায় এবং প্রবেশের জন্য কোনো টিকেটের প্রয়োজন হয় না।

বাহাদুর শাহ পার্ক কিভাবে যাবেন

ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে পৌঁছাবেন, তখন সরাসরি বাহাদুর শাহ পার্কের প্রবেশপথটি দেখতে পাবেন।

 

বাহাদুর শাহ পার্ক এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
11.2 কিমি
ঢাকা থেকে
11.03 কিমি
Rate this Post
4.7
Average Rating
90
Total Votes
Poor Excellent
Comments (0)
এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান