ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের কাছে বাংলার বারো ভুঁইয়াদের স্মৃতিধন্য তিন গম্বুজবিশিষ্ট প্রাচীন একটি মসজিদ হলো মুসা খান মসজিদ। সপ্তদশ শতকের শেষভাগে নির্মিত এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে ঈশা খানের পুত্র মুসা খানের নামানুসারে, তবে এটি নির্মাণ করেছিলেন মুসা খানের পুত্র মাসুম খান। এই মসজিদের পাশেই মুসা খান চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য
মসজিদটি একটি উঁচু প্ল্যাটফর্মের উপর নির্মিত, যার ভিত্তিতে রয়েছে ছোট ছোট প্রকোষ্ঠ। পূর্ব দিকে খোলা বারান্দাযুক্ত মসজিদের দেওয়ালে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দুইটি করে খিলান দরজা রয়েছে। পশ্চিম দেওয়ালে অবস্থিত তিনটি মিহরাবের মধ্যে প্রধান মিহরাবটি তুলনামূলক বড়, অন্যগুলো আকারে ছোট। দেওয়ালজুড়ে মোগল স্থাপত্যরীতির নান্দনিক নকশা খচিত। মসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টকোণাকার বুরুজসহ মোট ১৬টি বুরুজ ও মিনার রয়েছে। মসজিদের সামনে রয়েছে ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধি।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের পশ্চিমাংশের চত্বর একসময় বাগে-মুসা খান বা মুসা খানের বাগান নামে পরিচিত ছিল, যা এই স্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে আরও সমৃদ্ধ করে।
যেভাবে যাবেন
মুসা খান মসজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ও আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অফিসের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। রাজধানীর যেকোনো প্রান্ত থেকে শাহবাগ হয়ে কার্জন হলের সামনে এসে হাঁটার পথে সহজেই মসজিদে পৌঁছানো যায়।
কোথায় খাবেন
পুরান ঢাকার বিখ্যাত খাবারের স্বাদ নিতে পারেন আল রাজ্জাক, হাজীর বিরিয়ানি, কাশ্মির কাচ্চি, বিউটি বোর্ডিং বা সুলতানের চায়ের দোকানে।
আসপাশের দর্শনীয় স্থান
সময় থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশে রোজ গার্ডেন, আহসান মঞ্জিল, শহীদ মিনার, মেডিকেল কলেজ, দোয়েল চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চারুকলা ইনস্টিটিউট, জাতীয় জাদুঘর বা টিএসসি ঘুরে দেখতে পারেন।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!