সাতভাইখুম

বান্দরবানের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে লুকিয়ে আছে সাতভাইখুম (Satvaikhum)। আমিয়াখুম জলপ্রপাত থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত এই স্থানটি পাহাড়, সবুজ প্রকৃতি আর স্বচ্ছ শীতল জলের এক অপরূপ মিলনস্থল। বাঁশের ভেলায় সাতভাইখুমের জলপথ পাড়ি দিতে গেলে মনে হবে যেন কোনো রহস্যময় পাথুরে দুর্গের অজানা এক অভিযাত্রী আপনি। চারদিকে আকাশ ছোঁয়া পাহাড়ের বিশালতা, সবুজ প্রকৃতির নিস্তব্ধতা আর টলটলে সবুজাভ পানির ধারা যেন প্রতিটি দর্শনার্থীকে মোহিত করে রাখে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর অ্যাডভেঞ্চারের অনন্য সংমিশ্রণে সাতভাইখুম একেবারেই তুলনাহীন।

সাতভাইখুম নামের উৎস

কথিত আছে, দেবতার পাহাড় থেকে ভেঙে পড়া বিশাল বোল্ডারগুলোর মধ্যে সাতটি বড় পাথরকে কেন্দ্র করে সাতভাইখুমের নামকরণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, পাহাড় থেকে নির্বিচারে গাছ কাটার কারণে দেবতাদের অভিশাপে সাতটি পাথরের মধ্যে একটি পাথর ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেছে। প্রকৃতির এই বিস্ময়কর সৃষ্টি দেখে সত্যিই মনে হয়, এটি যেন দেবতাদের এক অলৌকিক নিদর্শন।

কিভাবে যাবেন?

আমিয়াখুম জলপ্রপাত থেকে মাত্র ১৫-২০ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন সাতভাইখুমে। ঢাকা থেকে বান্দরবান গিয়ে সেখান থেকে জীপ বা বাসে থানচি পৌঁছাতে হবে। থানচি থেকে নৌকায় করে পদ্দমুখ, এরপর ট্রেকিং করে পদ্দঝিরি পার হয়ে থুইছাপাড়ায় রাত কাটাতে হবে। পরদিন ভোরে ট্রেকিং শুরু করে দেবতাপাহাড়, আমিয়াখুম, ভেলাখুম, সাতভাইখুম, নাফাখুম ঘুরে শেষে রেমাক্রি হয়ে বান্দরবান ফিরে আসা যাবে।

সাতভাইখুমের রহস্যময় সৌন্দর্য আর দুঃসাহসিক পথচলা যে কোনো ভ্রমণপ্রেমীর জন্যই আজীবন মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা হতে পারে। আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন আমাদের আমিয়াখুম ভ্রমণ গাইড!

সাতভাইখুম এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
314.7 কিমি
বান্দরবান থেকে
57.61 কিমি
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
আমিয়াখুম জলপ্রপাত
নাফাখুম
তিন্দু
ডিম পাহাড়
জাদিপাই ঝর্ণা
কেওক্রাডং
চিংড়ি ঝর্ণা
দামতুয়া ঝর্ণা
বগালেক
আলীর গুহা বা আলীর সুড়ঙ্গ
ঋজুক ঝর্ণা
মারায়ন তং
খাঞ্জেলী দীঘি
চিম্বুক
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
সাইরু হিল রিসোর্ট

মন্তব্য

এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন