হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যা রংপুর বিভাগে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে। এটি কৃষকনেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি তেভাগা আন্দোলনের পিতা হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৬ সালে কৃষি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এটি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কৃষি কলেজে রূপান্তরিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার ঘোষণা হয় এবং ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে এটি ১৩০ একর আয়তনে ৮টি অনুষদ নিয়ে ২২টি বিষয়ে সনদ প্রদান করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রয়েছে আধুনিক সেবা, যেমন একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ছাত্রছাত্রী হোস্টেল, সেমিনার কক্ষ, দুটি অডিটোরিয়াম, ক্যান্টিন, জিমন্যাশিয়াম, শহীদ মিনার, মসজিদ, এবং খেলার মাঠ। এছাড়া এখানে রয়েছে একটি শিশু পার্ক, পোষ্ট অফিস, ব্যাংক শাখা, ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট সুবিধা, মেডিক্যাল সেন্টার এবং লাইব্রেরি, যা ২৫ হাজারেরও বেশি বইয়ের সমৃদ্ধ সংগ্রহ ধারণ করে।
যাত্রার উপায়
ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পৌঁছানো সম্ভব। দিনাজপুর শহর থেকে অটোরিক্সা বা সিএনজি নিয়ে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে এখানে আসা যায়। ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর থেকে দিনাজপুরগামী বাসে চড়ে আসা যাবে। জনপ্রিয় বাস সার্ভিসগুলির মধ্যে রয়েছে নাবিল পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ ইত্যাদি, যেখানে ভাড়া ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা হতে পারে। এছাড়া ঢাকা থেকে ট্রেনে সরাসরি দিনাজপুর পৌঁছানো সম্ভব। আন্তঃনগর ট্রেন যেমন দ্রুতযান এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে ছাড়ে এবং টিকেটের মূল্য ৫৭৫ টাকা থেকে ১,৯৭৮ টাকার মধ্যে হতে পারে।
থাকার ব্যবস্থা
দিনাজপুর শহরে ভালো মানের হোটেল হিসেবে পর্যটন মোটেল (১৫০০-২২০০ টাকা রাত্রিকালীন) একটি ভালো অপশন হতে পারে। এছাড়া, শহরের অন্যান্য হোটেলগুলিও রয়েছে, যেমন হোটেল ডায়মন্ড, নিউ হোটেল, হোটেল আল রশিদ, ইত্যাদি, যেখানে ২০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে রাত্রি যাপন করা যায়।
খাবারের জায়গা
দিনাজপুরে স্থানীয় খাবারের জন্য রুস্তম, ফাইভ স্টার, দিলশাদ হোটেল, ইত্যাদি জনপ্রিয়। এছাড়া পুলাহাট বিসিক এলাকায় আবুল হোটেলে স্থানীয় খাবার খাওয়া যায়, যেমন ভাত, মাংস, ডাল ও সবজি।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!