চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকত তার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের জন্য দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের তালিকায় কক্সবাজার বা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নাম আগে থাকলেও পারকি সমুদ্র সৈকতের (Parki Sea Beach) সৌন্দর্য কোনো অংশে কম নয়। এর সবুজ ঝাউবন, লাল কাঁকড়া, আর নীলাভ জলরাশি যেন সবসময় ভ্রমণপ্রেমীদের স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় থাকে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের প্রস্থ ৩০০-৩৫০ ফুট পর্যন্ত। স্থানীয়রা একে ‘পারকির চর’ নামেও চেনে।
পারকিতে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ
পারকি সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণকারীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে স্পীড-বোট, সী-বাইক এবং হর্স রাইডিংয়ের সুযোগ। কর্ণফুলী নদীর চ্যানেলে অবস্থিত এই সৈকত থেকে হাঁটতে হাঁটতে বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনার অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। বর্তমানে এই সৈকতকে আরও পর্যটকবান্ধব করার কাজ চলছে। উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা, কেনাকাটার দোকান এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখানে ধীরে ধীরে উন্নত করা হয়েছে।
কীভাবে যাবেন
চট্টগ্রাম শহর থেকে পারকি সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব প্রায় ২৮ কিলোমিটার। শহর থেকে পতেঙ্গার ১৫ নম্বর জেটি হয়ে কর্ণফুলী নদী পার করে অটোরিকশায় সহজেই পারকিতে পৌঁছানো যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর থেকে বাসে আনোয়ারা বাসস্ট্যান্ড গিয়ে সেখান থেকে সিএনজি বা অটোরিকশা নিয়ে পারকিতে যাওয়া যায়। যারা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে চান, তারা রেন্ট-এ-কার, ক্যাব, মাইক্রোবাস বা সিএনজি রিজার্ভ করেও যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
চট্টগ্রাম শহরের ষ্টেশন রোড, জিইসি মোড় এবং আগ্রাবাদ এলাকায় বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হোটেল স্টার পার্ক, হোটেল ডায়মন্ড পার্ক, হোটেল মিসখা, হোটেল হিল টন সিটি, এশিয়ান এসআর হোটেল, হোটেল প্যারামাউন্ট, হোটেল সাফিনা এবং হোটেল সিলমন।
কোথায় খাবেন
পারকি সমুদ্র সৈকতে কিছু সাধারণ মানের খাবারের দোকান পাওয়া যায়। তবে চট্টগ্রাম শহরে বাঙালি, চাইনিজ এবং ফাস্ট ফুডসহ বিভিন্ন ধরণের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সময় পেলে অবশ্যই চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেজবানি খাবার এবং কালা ভুনা খাওয়ার সুযোগ মিস করবেন না।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!