ঢাকা থেকে যোগীর ভবণ এর দূরত্ব কত?

ঢাকা থেকে যোগীর ভবণ এর দূরত্ব প্রায় 167.79 কিলোমিটার।

বগুড়া থেকে যোগীর ভবণ এর দূরত্ব কত?

বগুড়া থেকে যোগীর ভবণ এর দূরত্ব প্রায় 11.31 কিলোমিটার।

যোগীর ভবণ কোথায় অবস্থিত?

যোগীর ভবণ বগুড়া, বাংলাদেশ এ অবস্থিত।

যোগীর ভবণ কিভাবে যাবেন, আসা-যাওয়ার সকল খরচ- ভ্রমণপ্রিয়

বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নে প্রায় ৮০ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা যোগীর ভবণ (Jogir Bhaban)। আনুমানিক ৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত এই স্থানটি একটি প্রাচীরবেষ্টিত এলাকা, যা দুটি ভাগে বিভক্ত।

স্থাপত্য ও ধর্মীয় নিদর্শন

যোগীর ভবণ কমপ্লেক্সে রয়েছে একটি আশ্রম, ৪টি মন্দির, কানচ কূপ, একটি ইদারা, ধর্মটঙ্গী ও অগ্নিকুণ্ড ঘর। ৪টি মন্দিরের মধ্যে সর্বমঙ্গলা মন্দিরটি বিশেষভাবে দৃষ্টিনন্দন, যা পোড়ামাটির ফলক ও ইট দিয়ে অলংকৃত। যদিও এই মন্দিরের নির্দিষ্ট নির্মাণকাল বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না, তবে লোককথা অনুযায়ী, বাংলার কিংবদন্তি চরিত্র বেহুলার স্বামী লখিন্দর এখানকার কানচ কূপের পানি পান করে পুনরায় জীবন ফিরে পেয়েছিলেন।

কিভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে বগুড়া:

বাস: গাবতলী, মহাখালী, শ্যামলী, কল্যাণপুর ও আব্দুল্লাপুর থেকে শ্যামলী পরিবহন, এস আর ট্র্যাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, আগমনী এক্সপ্রেস, মানিক এক্সপ্রেস, নাবিল পরিবহন, আল হামরা পরিবহন ইত্যাদি বাসযোগে বগুড়ায় পৌঁছানো যায়। বাসভেদে ভাড়া ৫৫০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ট্রেন: ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে বগুড়া যাওয়া যায়। ট্রেনের ভাড়া ৪৭৫ থেকে ১০৯৩ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

বগুড়া থেকে যোগীর ভবণ:

বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে যোগীর ভবণ অবস্থিত। শহর থেকে সিএনজি, অটো রিকশা বা স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করে সহজেই এখানে পৌঁছানো যায়।

কোথায় থাকবেন?

বগুড়ায় থাকা-খাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি মানসম্মত আবাসিক হোটেল রয়েছে, যেমন:

পর্যটন মোটেল
হোটেল নাজ গার্ডেন
মম ইন
সেঞ্চুরি মোটেল
হোটেল সিয়েস্তা
আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল
নর্থওয়ে মোটেল

কোথায় খাবেন?

যোগীর ভবণের আশপাশে কিছু স্থানীয় খাবারের দোকান রয়েছে, যেখানে সাধারণত দেশি খাবার ও চা পাওয়া যায়। এছাড়াও বগুড়া শহরে বেশকিছু জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেমন: