ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক

ফরিদপুর জেলার গোয়ালচামট এলাকায় প্রায় ১৪ একর জায়গাজুড়ে ওয়ান্ডারল্যান্ড এবং ফরিদপুর পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক। ২০১৪ সালে স্থাপিত এই পার্কে রয়েছে চলন্ত ট্রেন, ভূতুরে গুহা, ওয়ান্ডার হুইল, সুইং কেয়ার, প্যারাট্রুপার, বোট রাইডিংসহ ৩০টিরও বেশি আকর্ষণীয় রাইড। এছাড়া পার্কে রয়েছে একটি লেক, মিনি চিড়িয়াখানা, ভিডিও গেমসের ব্যবস্থা, ফুড কর্নার এবং পিকনিক স্পট।

এখানে আরও রয়েছে আইফেল টাওয়ার ও স্ট্যাচু অব লিবার্টির রেপ্লিকা, ডাইনোসর ও পান্ডার মতো চমৎকার ভাস্কর্য। মিনি চিড়িয়াখানায় আছে হরিণ, খরগোশ, বানর, ময়ুরসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রাণী। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণে ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক জেলাবাসীর কাছে অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

পার্কের সময়সূচী ও প্রবেশ ফি

পার্কটি সপ্তাহের ৭ দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশ ফি জনপ্রতি ১০০ টাকা এবং প্রতিটি রাইডের জন্য আলাদা করে জনপ্রতি ৬০ টাকা খরচ করতে হয়।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে ফরিদপুরে বাস ও ট্রেনযোগে যাওয়া যায়। গাবতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে কমফোর্ট লাইন, রয়েল পরিবহন, সূর্যমুখী পরিবহন, গোল্ডেন লাইনসহ বিভিন্ন বাস পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর রুটে চলাচল করে। বাসের ভাড়া মানভেদে ৪০০-৫০০ টাকা।
ট্রেনে আসতে চাইলে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ফরিদপুর আসা যায়। ট্রেনের ভাড়া আসনভেদে ৩০৫-৬৯৬ টাকা। ফরিদপুর শহরে রিকশা বা অটোরিকশায় সহজেই পার্কে যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

ফরিদপুর শহরে থাকার জন্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল। একটু বেশি বাজেটের জন্য জনতার মোড়ে হোটেল র‍্যাফেলস, আর কম বাজেটে মুজিব সড়কের জেকে ইন্টারন্যাশনাল, পদ্মা হোটেল, হোটেল ঝিলভিউ প্রভৃতি ভালো অপশন হতে পারে।

আরও কি দেখবেন

ফরিদপুর জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলো হলো পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, হযরত শাহ ফরিদ মসজিদ, জগদ্বন্ধু সুন্দর আশ্রম, আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, বাইশ রশি জমিদার বাড়ি, সদরপুর সাতৈর মসজিদ, মথুরাপুরের দেউল এবং পাতরাইল মসজিদ।

ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
65.3 কিমি
ফরিদপুর থেকে
2.57 কিমি
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি
কানাইপুর জমিদার বাড়ি
গেরদা ফলক
মধুমতি নদী
মথুরাপুর দেউল
জামাই পাগলের মাজার
সাতৈর মসজিদ
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মাজার
তেওতা জমিদার বাড়ি
মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র
রাজা সীতারাম রাজপ্রাসাদ
সিদ্ধেশ্বরী মঠ
বেতিলা জমিদার বাড়ি
ঝিটকার সরিষা ক্ষেত
মত্ত মঠ
কল্যাণ দীঘি
পদ্মা রিসোর্ট
পাতরাইল মসজিদ
উজানী রাজবাড়ী
মধুমতি বাওড়

মন্তব্য

এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন