গাইবান্ধা পৌর পার্ক একটি জনপ্রিয় উন্মুক্ত বিনোদনকেন্দ্র, যা গাইবান্ধা পৌরসভার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। শহরের মানুষের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে ১৯২৭ সালে জমিদার গোবিন্দ লাল রায়ের দানকৃত ১ একর ৭ শতক জমিতে পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি পুকুরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই পার্কে রয়েছে নানান রকমের ফুল, ফল ও বনজ গাছ, যা পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।
পার্কের আকর্ষণসমূহ
পার্কের কেন্দ্রস্থলে থাকা পুকুরটি এখানে আগত দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ। পুকুরের মাঝে একটি সুন্দর পানির ফোয়ারা রয়েছে, যা পার্কের শোভা আরও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া, পুকুরের এক পাশে রয়েছে শানবাঁধানো ঘাট, যেখানে বসে নির্জন বা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে এক মনোরম সময় কাটানো যায়।
পার্কের অন্য আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে –
✅ সারি সারি বেঞ্চ, যেখানে বিশ্রাম নেওয়া যায়।
✅ রঙিন মাছ সমৃদ্ধ পুকুর, যা শিশুদের বেশ আকৃষ্ট করে।
✅ ক্যান্টিন ও গ্যালারি, যেখানে বসে আড্ডা দেওয়া যায়।
✅ বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি, যা পার্কের পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
শহরের কোলাহল থেকে মুক্ত হয়ে নির্মল বাতাস আর সবুজ প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর জন্য পার্কটি সব বয়সী মানুষের কাছে একটি আদর্শ স্থান।
কিভাবে যাবেন?
রাজধানী ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় আসার জন্য বেশ কয়েকটি এসি ও নন-এসি বাস চলাচল করে। এর মধ্যে শ্যামলী পরিবহন, আল হামরা পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস ও অরিন ট্রাভেলস উল্লেখযোগ্য। বাসের ধরণ অনুযায়ী জনপ্রতি ভাড়া ৭০০ থেকে ১১০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
এছাড়া, ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রংপুর এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনে গাইবান্ধায় যাওয়া যায়। ট্রেনের আসনভেদে ভাড়া ৫৫০ থেকে ১৮৮৬ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
গাইবান্ধা জেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশা বা অটোরিকশায় সহজেই পৌর পার্কে পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন?
গাইবান্ধায় রাতযাপনের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল ও গেস্টহাউস। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
গাইবান্ধা সার্কিট হাউজ
এসকেএস ইন হোটেল (কলেজ রোড, সবচেয়ে ভালো অপশন)
গণ উন্নয়ন কেন্দ্র
এসকেএস ইন হোটেলে সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী কক্ষ ভাড়া ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!